নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার আইন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিং বাঘেলের মতে, ‘মুসলিমদের মধ্যে সহনশীলতা নেই। হাতে গোনা কয়েকজন থেকে থাকতে পারে।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘মুসলিম সমাজের কেউ কেউ সহনশীলতার মুখোস পড়ে থাকেন উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল হওয়ার লক্ষ্যে। ওই পদ চলে গেলেই তাঁদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে।’
দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই কথা বলেছেন। সেখানে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে মোদীর মন্ত্রীর দাবি, ভারত জাতির মৌলিক কাঠামোটি হল হিন্দু রাষ্ট্রের।
কেন্দ্রের আইন প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এবং অন্ধ্রপ্রদেশে রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নাজেরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বছর দুয়েক আগে নাজমা হেফতুল্লা ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল। বস্তুত, তাঁর কারসাজিতেই বিজেপি ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের থেকে কম আসন পেয়েও সরকার গড়তে সক্ষম হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
নাজমা অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং অন্যান্য মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজেরকে চাকরি জীবন শেষ করার কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যপাল করা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ বিতর্ক, তিন তালাক বিরোধী রায়দানের সঙ্গে যুক্ত ডিভিশন বেঞ্চের সদস্য নাজেরকে মোদী জমানায় তিনজন মুসলিম রাজ্যপালের চেয়ারে বসার সুযোগ পেয়েছেন।
কেন্দ্রের আইন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সহনশীল মুসলমানদের হাতে গোনা যায়। তাদের সংখ্যা হাজারও নয়। এমনকি সেটাও একটা কৌশল। মুখোস পরে থাকেন। এইভাবেই রাজ্যপাল বা উপরাষ্ট্রপতি হয়ে যান। সেই পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর মনের কথা বলতে শুরু করেন।’