এত দিন সার্কেল স্তর থেকে বিষমদ বা আবগারি দফতরের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হত। তবে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিষমদ প্রতিরোধে এবার আবগারি থানা গড়ছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, প্রশাসনের তরফে ১১৭টি ‘এক্সাইজ স্টেশন’ বা আবগারি থানা গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় তিন হাজার কর্মী-অফিসার নিয়োগ করা হবে।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সাধারণ ভাবে তিন-চারটি পুলিশ থানা নিয়ে গড়া হবে এক-একটি আবগারি সার্কেল। নতুন ওই আবগারি থানাগুলি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে থানাগুলি সামলানো হবে। পুলিশ ইনস্পেক্টরেরা নিজেদের থানা এলাকায় দিনরাত যে-ভাবে তল্লাশি ও নজরদারি চালায়, সে ভাবেই কাজ করবে আবগারি থানা।
জানা গেছে, আবগারি থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্পেক্টর নিয়োগ করা হবে। ঠিক হয়েছে, অতি দ্রুত ২৩৪ জন এসআই, ৫৮৫ জন এএসআই এবং ১৭৫৪ জন আবগারি কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। দ্রুত নিয়োগের জন্য পৃথক আবগারি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে আবগারি দফতর। তবে তাতে অর্থ দফতরের ছাড়পত্র মেলেনি। তাই প্রথম দফায় নিয়োগ হবে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমেই।
এর পাশাপাশি বিষমদের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজ্যে আরও দু’টি আঞ্চলিক রাসায়নিক পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি আসানসোলে, অন্যটি শিলিগুড়িতে। আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলির মাথায় থাকবেন এক জন ডেপুটি কেমিক্যাল এগজামিনার। সঙ্গে থাকবেন জনা পনেরো রাসায়নিক বিশ্লেষক।
আবগারি দফতরের এক কর্তা জানান, মদ বেচে রাজ্যের এখন বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় হচ্ছে। ওইসব চোলাই মদের বিক্রি বন্ধ করতে পারলে সেই আয় আরও তিন হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে।