গত রবিবার আচমকাই থেমে গেছিল তাপমাত্রার নিম্নমুখী হওয়ার দৌড়৷ খুব স্বল্প হলেও বেড়েছিল তাপমাত্রা৷ যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল শীত এখনই যাবে না, আরো বেশ কিছুদিন কনকনে ঠান্ডার প্রকোপ থাকবে গোটা রাজ্য জুড়ে৷ গতকালও বেশ ভালো ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে৷ নববর্ষ উদযাপনে এবার সঙ্গী হবে কনকনে শীতও৷
সোমবার, ২০১৮ সালের শেষ দিনে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের দু’ডিগ্রি নীচেই ছিল। তাই হাড়ের কাঁপুনি বন্ধ হলেও মহানগরীতে শীতের উপস্থিতি বেশ ভাল ভাবেই মালুম হয়েছে। দূরের জেলাগুলিতে যথারীতি কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে শীত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ মঙ্গলবার, ইংরেজি নতুন বছরে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই শীতের দেখা মিলবে।
সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে ১২.৪ এবং ব্যারাকপুরে ৯.৩ ডিগ্রি। গাঙ্গেয় বঙ্গের জেলাগুলিতে সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৭.৪ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে রাতের তাপমাত্রা ৪.৮ ডিগ্রিতে নেমেছে৷ দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের দাপট এ বার শুরু হয়েছে বড়দিনের পর থেকেই। এক দশক পরে তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙের ম্যালে। বরফ পড়েছে কালিম্পং, সোনাদা, মিরিকের একাংশেও। ডুয়ার্সেও কড়া ঠান্ডা। পিছিয়ে নেই গাঙ্গেয় বঙ্গও। পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি তো বটেই, কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরেও দিন দুয়েক আগে রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৭ ডিগ্রির কাছে! ‘‘আগামী কয়েক দিন শীত এমনই থাকবে,’’ এমনই আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস।