মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবারই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে থাকেন ‘এগিয়ে বাংলা’। বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় দেশের মধ্যে বাংলা যে সত্যিই অনেক এগিয়ে তা আবারও স্বীকারও করে নিল কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজে দেশের মধ্যে সবথেকে ভালো কাজ করেছে মমতার বাংলাই। গতকাল সংসদে এ কথা জানালেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সোমবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ মানসরঞ্জন ভুঁইঞার ১০০ দিনের প্রকল্প সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, এমজিএনআরইজিএর (মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট) আওতায় ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ‘মানব দিবস’ (পার্সনডেজ) তৈরি করেছে বাংলা। শুধু তাই নয়। ওই কর্মসূচিতে বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে সারা দেশে সবথেকে বেশি টাকা খরচও করেছে মমতার রাজ্য।’
তিনি আরও জানান, ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে শুধুমাত্র বাংলাতেই মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের আওতায় ৫.৫৮ লক্ষ পরিবার ১০০ দিনের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, উল্লিখিত আর্থিক বছরে সারা দেশের মোট ২৯.৫৬ লক্ষ পরিবার ১০০ দিনের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে। এবং এই সমস্ত তথ্যই পাওয়া গিয়েছে ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম (এমআইএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
এরপরই মানসবাবু বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র এখনও রাজ্য সরকারকে তার পাওনা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা দেয়নি। যা নিয়ে বারবার বিভিন্ন সময় তীব্র প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যেভাবে ১০০ দিনের কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একেবারে প্রথম স্থান দখল করেছে, তার সত্যিই কোনও তুলনা হয় না।’
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামবাংলার মানুষের কর্মসংস্থানের আরও বেশি সুযোগ তৈরি করে দিতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে এই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে গ্রামবাংলার অন্তত ১০ লক্ষ পরিবারের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তাঁর সরকার। শুধু তাই নয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ১০০ দিনের কাজে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশনও ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি’র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। যা উচ্চ প্রশংসিতও হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য তাই মমতার উদ্যোগকেই চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিল বলে মনে করা হচ্ছে।