মোদী সরকার দাবি করল, খাদ্যপণ্যের দাম মোটেই ‘অস্বাভাবিক’ হারে বাড়েনি। যেটুকু দাম বেড়েছে, তা প্রত্যাশিত। চাল-গমের দাম আরও বাড়লে তা সামাল দিতে বাজারে সস্তায় চাল-গম ছাড়ার মতো খাদ্যশস্য সরকারের ঘরে রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য, ক্রেতা সুরক্ষা ও গণবণ্টন মন্ত্রক অবশ্য আজ দাবি করেছে, সরকারের ঘরে যথেষ্ট খাদ্যশস্য রয়েছে। প্রয়োজন পড়লেই সরকার হস্তক্ষেপ করবে।
কিন্তু সরকার কবে হস্তক্ষেপ করবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি খাদ্য, ক্রেতা সুরক্ষা, গণবণ্টন মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পাণ্ডে। তাঁর বক্তব্য, ‘খাদ্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়নি। যখন সরকার দেখবে মূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে, তখন হস্তক্ষেপ করা হবে।’ কিন্তু সরকার কখন মূল্যবৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’ বলে মনে করবে, তা নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট জবাব দিতে চাননি। তাঁর যুক্তি, এ বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে।
সেপ্টেম্বর মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ ছুঁয়েছে। এপ্রিল মাসের পরে এই মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গরিব-মধ্যবিত্তের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। উৎসবের মরসুমের আগে সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে ৮.৬ শতাংশ ছুঁয়েছে। গত ২২ মাসে খাদ্যপণ্যের এতটা মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। এর মধ্যে চাল, গমের মতো খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ১১.৫ শতাংশ। ২০১৩ সালের পরে খাদ্যশস্যের দাম এত বাড়েনি।