নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এখনও ধর্নায় বসে রয়েছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা নাহলে তাঁরা নড়বেন না। এমন পরিস্থিতিতে পর্ষদের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, আন্দোলনকারীদের দাবি অন্যায্য। তা মানা সম্ভব নয়। সম্প্রতি পর্ষদের তরফ থেকে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছিল ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সিরাই আবেদন করতে পারবেন চাকরির জন্য। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের জন্য ছিল এই বিজ্ঞপ্তি।
এবিষয়ে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল যে, তাঁরা ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছেন। তারপর দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও চাকরি মেলেনি। নিয়োগ দুর্নীতির জেরে তাঁদের বয়স বেড়ে গেছে। তাই তাঁদের দাবি, নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা বাড়ানো হোক। পাশাপাশি যেহেতু তাঁরা দু’বার ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ দিয়ে দিয়েছেন তাই আর এইসব প্রক্রিয়ার মধ্যে দিতে যেতে চান না মঙ্গলবার সংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, আন্দোলনকারীদের এই দাবি মানা সম্ভব নয়। বয়স বাড়ানোর এক্তিয়ার পর্ষদের হাতে নেই। আইন মেনেই কাজ করবে পর্ষদ। ইন্টারভিউতে সকলকেই বসতে হবে। তাঁর কথায়, “গণতান্ত্রিক দেশে সকলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। আমি চাকরিপ্রার্থীদের আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু এমন অন্যায্য দাবি মানা সম্ভব নয়।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “এই আন্দোলনের পেছনে কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিবিশেষের ইন্ধন রয়েছে। এইসব আন্দোলনের ফলে পর্ষদ যে আগামীতে নিয়োগ করতে চলেছে সেই কাজে বিঘ্ন ঘটছে”, জানিয়েছেন গৌতমবাবু।