মালবাজার বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যদের প্রাণ বাঁচানো ৭ যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালবাজারে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে তাঁদের ডেকে নেন তিনি। সকলকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র, ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও প্রশংসাপত্র দেন। যদিও তাঁদের মধ্যে ২ জন সেই চাকরি গ্রহণ করেননি। তাঁরা নিজেদের কাজই চালিয়ে যেতে আগ্রহী বলে জানান। তাতে মুখ্যমন্ত্রী ২ জনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাকি ৬ জন সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। বিপদে মানুষজনের পাশে দাঁড়ানোর এহেন স্বীকৃতিতে স্বভাবতই আপ্লুত তাঁরা।
সৌমেন চৌধুরী, মহঃ মানিক, মনোজ মুন্ডা, দারা সিং, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, দীপক বোদকা, অমিয়া মাহাতো – এই সাতজন দশমীর ভাসানে মাল নদীতে হড়পা বানের সময় তলিয়ে যেতে বসা মানুষজনকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেকেরই জীবন বাঁচান তাঁরা। বিশেষত মহঃ মানিক অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। সোমবার মালবাজার পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করেছিলেন। আর মঙ্গলবার আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে তাঁদের ডেকে নেন। এক এক করে সকলকে মঞ্চে তুলে পরিচয়ের পর জেনে নেন তাঁরা কে কোন পেশায় যুক্ত।
এরপর রাজ্যের তরফে প্রশংসাপত্র, ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে সিভিক ভলান্টিয়ার বিভাগে নিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ বিশ্বাস গাড়ি চালান বলে তাঁকে ওই পদেই নিয়োগের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।