গত দু’বছর করোনার বাতাবরণে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রভাব পড়েছে পর্যটনে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। তবু বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে ছন্দ এসেছে জীবন। তাই এবার পুজোয় পর্যটকদের বড় পাওনা, পুজোর আগেই জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বড় পরিকল্পনা নবান্নের। এতদিন সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক হোমস্টে ছিল মহারাষ্ট্রে। এখন পশ্চিমবঙ্গ তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। অতিমারি কালে গত দু’বছর রাজ্যের পর্যটন ব্যবসা লোকসানের সন্মুখীন হয়েছে। তাই পর্যটকদের কাছে এবার রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষনীয় করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব পর্যটন কেন্দ্রিক জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে পর্যটক পরিষেবার কোনও ত্রুটি না থাকে। উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে। প্রত্যকটি পর্যটন কেন্দ্রেই অন্তত আট থেকে দশটি কিয়ক্সের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য,ওড়িশা, গোয়া, কেরল সহ বহু রাজ্য রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নানা স্মরণিকা বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গের কোনও পর্যটন কেন্দ্রে সচরাচার দেখা যায় না। অথচ এই স্মারণিকা নিয়ে ভালো ব্যবসা হতে পারে। তাই এবার পঞ্চায়েতের হাতে থাকা আনন্দধারার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, চিরাচরিত পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও বহু জায়গায় লোকশিল্পকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। বিদেশি পর্যটকরাও সেখানে যাচ্ছেন। মূলত কিছু সংস্থার উদ্যোগে এই কেন্দ্রগুলি আত্মপ্রকাশ করেছে। জেলাশাসকদের এই সব কেন্দ্রে পর্যটকদের পরিষেবার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এ ব্যাপারে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও হোমস্টের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১৭০৪ টি হোমস্টেকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের নয়া দিক নির্দেশ করেছে।
![পুজোর আগেই পর্যটকদের বড় পাওনা! – পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষনীয় করতে বিশেষ উদ্যোগ নবান্নের](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/08/WhatsApp-Image-2022-08-06-at-3.24.02-PM-11.jpeg)