মোদী জমানায় মূল্যবৃদ্ধির আগুনে জ্বলছে দেশের সাধারণ মানুষ। এর প্রতিবাদে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ৯ থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। গতকাল দিল্লীতে এই ইস্যুতেই পথে নামেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ছিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারাও। ৬৫ জন সাংসদ-সহ প্রায় ৩০০ কংগ্রেস নেতাকে দিল্লী পুলিশ শুক্রবার আটক করে। ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে সন্ধ্যায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিল্লিতে কংগ্রেস ভবন সারাদিনের জন্য ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আটক হওয়া নেতাদের তালিকায় রাহুল, প্রিয়াঙ্কাদের সঙ্গেই ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, সচিন পাইলট, ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল এবং রাজ্যের আর এক পরিচিত মুখ টিএস সিংদেওর মতো দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত নেতারা। আবার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতারাও বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছেন। রাজ্যগুলিতেও গোষ্ঠী নির্বিশেষে নেতারা পথে নামেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, কংগ্রেসের আন্দোলনে এই ঐক্যের ছবি এমন একটা সময় ধরা পড়ছে যখন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে কয়েক দফা জেরা করেছে। আবার এ মাসেই কংগ্রেসের অন্তবর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী পুত্র রাহুলের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন। ফলে বিজেপি যখন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করছে, দেশ ও কংগ্রেস দলের দুর্দশার জন্য ওই পরিবার দায়ী বলে গলা চড়াচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ গোটা গেরুয়া পরিবার, তখন সোনিয়া-রাহুলদের পাশে দলের সর্বস্তরের আবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন।