নতুন সরকার গঠনের কয়েক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই শুরু অন্তর্দ্বন্দ্ব? মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধানের কথায় এমনটাই ইঙ্গিত মিলল। গত মাসেই মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতন হয়,বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন সরকার গঠন করেন একনাথ শিন্ডে। মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি নিজে, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিস। এতে কিছুটা কষ্টই পেয়েছিলেন তাঁর সমর্থকরা, তার আন্দাজ আগেই ছিল। শনিবার তা সরাসরি স্বীকারও করে নিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত ভারী হৃদয়ের সঙ্গেই দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দেবেন্দ্র ফডনবিসের জায়গায় শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক’।
বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল জানান, একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়ার কারণ দল চেয়েছিল তাদের অবস্থান নিয়ে সাফ বার্তা দিতে এবং রাজ্য সরকারের স্থিতিশীলতা আনতে। তিনি বলেন, ‘জনগণকে সঠিক বার্তা দেওয়া ও স্থিতিশীলতা আনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও দেবেন্দ্র ফডনবিসজী সিদ্ধান্ত নেন যে একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আমরা এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলাম না, কিন্তু তা স্বীকার করে নিয়েছি’।
একনাথ শিন্ডের শিবসেনার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ও মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতনের নেপথ্যে যে বিজেপির হাত ছিল, তা অনেকদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই জল্পনা ছিল যে, মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফডনবিস। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে একনাথ শিন্ডেকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় একনাথ শিন্ডের। দেবেন্দ্র ফডনবিস জানান, তিনি কোনও মন্ত্রীপদই চান না। তবে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের জোরাজুরিতেই তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।