বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও উৎকৃষ্ট মানের আঞ্চলিক দ্রব্য বা পণ্য যদি সেই এলাকার নিজস্ব দ্রব্য হয়, তাহলে তা জিআই তকমা পেতে পারে। জিআই পাওয়ার ক্ষেত্রে গত বছর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল রসগোল্লা নিয়ে। উড়িষ্যার সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রসগোল্লার জিআই’য়ের মুকুট ওঠে বাংলার মাথাতেই। রসগোল্লার পর এবার জামদানী শাড়ির জিআই পেতে কোমর বাঁধছে রাজ্য।
বহু বছর ধরেই বাংলার তাঁতিরা জামদানী শাড়ি বুনছেন। বাংলার টাঙ্গাইল ও টাঙ্গাইল জামদানি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়। সরকারি কর্তারা বলছেন, ‘এই টাঙ্গাইলের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বাংলাদেশের শাড়ির থেকে আলাদা।’ জামদানীর সাথে রাজ্য জোর দিচ্ছে রাঁধুনিপাগল চালের ওপরেও। রাঁধুনিপাগল চাল উৎপাদন হয় মূলত রাজ্যের পশ্চিমভাগে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের কর্তাদের কথায়, ‘কোনও একটি পণ্যকে যদি জিআই স্বীকৃতির জন্য পাঠানো হয়, তাহলে আমাদের আগে নিশ্চিত হতে হয়, সেই পণ্যটির স্বত্বের দাবিদার অন্য কোনও রাজ্য বা অঞ্চল আছে কি না। তার সঙ্গে নানা প্রমাণ জোগাড় করতে হয়, যাতে বোঝা যায়, সেটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের পণ্য। সেই কাজটিই এখন চলছে বলে জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা। সরকারি কর্তাদের আশা, যেভাবে কাজ এগচ্ছে, তাতে জিআই তকমা মিলবে। যদি তা শেষ পর্যন্ত হয়, তাহলে রাজ্যের মুকুটে খুব তাড়াতাড়ি যোগ হতে চলেছে নতুন পালক।