প্রমানের অভাবে সোহরাবউদ্দিন শেখ এনকাউন্টার মামলায় অভিযুক্ত ২২ জনকেই নির্দোষ বলে ঘোষণা করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই জানিয়েছে, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ফায়দার জন্যই এই ভুয়ো এনকাউন্টারের ছক কষা হয়েছিল। প্রথমে অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল অমিত শাহ-সহ মোট ৩৮ জনের। প্রমাণের অভাবে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়।
শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এস জে শর্মা বলেন, সিবিআইয়ের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ নেই। তবে সোহরাবউদ্দিনের দেহে বুলেট ক্ষতের কথা মেনে নিয়েছে আদালত। সোহরাবউদ্দিনের পরিবারের উদ্দেশ্য বিচারক শর্মা বলেন, সোহরাব উদ্দিনের পরিবারের প্রতি আদালতের সমবেদনা রয়েছে। তবে সাক্ষীরা যদি বিরূপ হয়ে যায় তাহলে আদালত এক্ষেত্রে আদালত অসহায়।
গুজরাট পুলিসের দাবি ছিল, ২০০৫ সালে এক এনকাউন্টারে মারা যায় সোহরাবউদ্দিন সেখ। সে ছিল লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। নরেন্দ্র মোদীকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল সে। অন্যদিকে সিবিআইয়ের দাবি, সোহরাবউদ্দিন একজন গ্যাংস্টার। সোহরাবউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ও সোহরাবের সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতিকে অপহরণ করে খুন করে গুজরাট এটিএস। এক্ষেত্রে একটি ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ উঠছিল গুজরাট এটিএসের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
প্রসঙ্গত সোহরাবউদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রী কাউসার বি-কে হায়দরাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের সাংলি যাওযার পথে অপহরণ করে গুজরাট এটিএস। পরে গান্ধী নগরের অদূরে একটি জায়গায় সোহরাবউদ্দিনকে খুন করা হয়। পরে কওসার বি-কে ধর্ষণ করে খুন করা অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে ওই এনকাউন্টারে প্রত্যক্ষদর্শী ও সোহরাবউদ্দিনের সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতি মারা যায় গুজরাটের বংশকাঁথা জেলায় ছাপরি গ্রামে। তাকেও ২০০৬ সালে এনকাউন্টারে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।