আগামি ২৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানা স্টেশন সংলগ্ন ইন্দিরা ময়দানে হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক।প্রতি মুহূর্তে যিনি গোটা রাজ্যের খেয়াল রাখেন এবার তাঁর নিরাপত্তার খেয়াল রাখার পালা। তাই তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক ও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি নিয়ে কোথাও কোনরকম ফাঁক রাখতে চাইছেন না দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তারা।
অনুষ্ঠান মঞ্চ কেমন হবে, মুখ্যমন্ত্রী কোথায় বসবেন, উপভোক্তারাই বা কোথায় বসবেন এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়ে গেছে তাঁদের মধ্যে। সেই মতই ২৬ তারিখের আয়োজন করছেন তাঁরা। আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে ইন্দিরা ময়দান।
সূত্রের খবর ২৭ ডিসেম্বর মন্দিরবাজার ও মথুরাপুর সীমানা ঘেঁষা পৌষমেলা ময়দানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন সাগরে। ২৮ ডিসেম্বর সেখানে পরিষেবা প্রদান ও সুন্দরবন কাপের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন তিনি। তার আগে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেবেন। এর সঙ্গে সাগরমেলার কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃণাল রানো, অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্যামল মণ্ডল, ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও মথুরাপুর ও মন্দিরবাজারের বিডিও এবং জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও মিলে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচীর স্থানগুলি পরিদর্শন করে দেখেন। এবার মঞ্চ হবে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে স্টিলের হ্যাঙ্গার দিয়ে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মাঠ সমান করার কাজ।
জেলাশাসকের নির্দেশে মাঠের চারপাশ ঘিরে পানীয় জল ও আলাদাভাবে শৌচাগারের ব্যাবস্থা হচ্ছে। কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড হবে সেই জায়গাও দেখেছেন তিনি। বিকেলে নামখানা স্টেশন সংলগ্ন ইন্দিরা ময়দানে যান জেলাশাসক। সেখানে ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ সুপার তথাগত বসু, কাকদ্বীপ মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায়। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড ও মঞ্চ তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৈরি হচ্ছে সভাস্থলে যাওয়ার জন্য রাস্তাও। রাতে সাগরে যান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চের কাজও সরজমিনে ঘুরে দেখেন সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীরা। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।