না সাক্ষাৎকার, না সাংবাদিক বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি বললেই চলে। বিরোধীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ভয় পান মোদী। তাই প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন।
সাড়ে চার বছরে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এমনকি কোনও বিদেশ সফর থেকে ফিরে এসেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিদেশ সচিবেরা। এই নিয়ে মোদীকে খোঁচা দিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি অন্তত সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতাম’।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের বিষয় নিয়েই তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন ছিল, গত তিন বছরে সরকারিভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কটি সাক্ষাৎকার সংঘটিত হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে কেন? গত তিন বছরে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন এই তরুণ সাংসদ।
কিন্তু ঋতব্রতের এই প্রশ্নবান কার্যত এড়িয়েই গেল তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। তথ্য ও পরিসংখ্যান দেওয়ার বদলে সমস্ত রকমভাবেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তা হয়েছে বলে দায় সেরেছেন তিনি। পাশাপাশি সেই সব তথ্য একত্রিতভাবে সংরক্ষিত নেই তাই সেগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মূল প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রীর এই এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের দাবি, কালো টাকা ফেরানো থেকে বেকারদের চাকরি, রামমন্দির বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মোদী। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে একটা প্রতিশ্রুতিও পূরণ করতে পারেন নি তিনি। তাই সেইসব প্রশ্ন এড়াতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না মোদী।