প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ২৬ ডিসেম্বর সাগরমেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ টি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি।
সাগরমেলার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠকও করেন মমতা। মুড়িগঙ্গায় সেতু না হওয়ায় কেন্দ্রকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাজপুর বন্দরে অংশীদারিত্বের বিনিময়ে সাগরদ্বীপের যোগাযোগ সুগম করতে মুড়িগঙ্গার ওপর সেতু চেয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্রের টালবাহানায় সেই উদ্যোগ অথৈ জলে’। এই বিষয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘সাগরমেলায় প্রতিবছর ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। অথচ কেন্দ্র এই নিয়ে চুপ’।
মমতার কথায়, ‘কুম্ভ মেলায় যেখানে বাস, রেল যোগাযোগ রয়েছে সেখানে সাগরে যেতে হয় জলপথের ওপর ভরসা করেই। তাই রাজ্যকে বাড়তি নিরাপত্তায় নজর দিতে হয়। তীর্যযাত্রীদের কোনও প্রবেশ কর দিতে হয় না। বরং পাঁচ লাখ টাকার বিমা করে দেওয়া হয়। কিন্তু মুড়িগঙ্গার ওপর লোহার ব্রিজ হলে জলপথে যাতায়াতের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা যেত। কিন্তু কেন্দ্র গত চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে’।
এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। কলকাতায় থাকবেন পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ কয়েকজন। সাগরে মূল দায়িত্ব পালন করবেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন-সহ কয়েকজন। তবে মমতা জানিয়েছেন, ‘মেলা মানুষের জন্য। সেখানে বেশী ভিআইপিদের উপস্থিতি মানে সমস্যা বাড়ানো। তাই দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের সমস্যা না হয়। বাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে এবার’।