পুরনির্বাচনে সবুজ-ঝড় অব্যাহত। ঘাসফুলের জয়জয়কার। দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের দখলে ২টি ওয়ার্ড। পুরভোটে ব্যাপক জয়ের দিনে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আরও একবারও তোপও দাগলেন তিনি। অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে বুধবার উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দেন মমতা। তার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে পুরভোটে বিপুল জয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরও একবার ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও এদিন বিরোধীদের তোলা পুরভোটে অশান্তির অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১১,২৮০টি বুথে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটা বুথে সমস্যা হয়েছে। সেগুলিকেই বড় করে দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম। মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তাঁদের ধন্যবাদ।”
পাশাপাশি, দার্জিলিংয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফের যে ভোট শুরু হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার হিসাবেই দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মাত্র ৩ মাস আগে আত্মপ্রকাশ করা ‘হামরো পার্টি’ই দার্জিলিং পুরসভার দখল নিয়েছে। ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জিতেছে বিখ্যাত রেস্তরাঁ গ্লেনারিজের কর্তা অজয় এডওয়ার্ডের দল। তাতেই খুশি তিনি। মমতার কথায়, “সবচেয়ে খুশি হয়েছি পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে এসেছে। আমাদের কিছু ছিল না। আমাদেরও খাতা খুলেছে। ৫টি দলের সঙ্গেও আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।”
এছাড়া, আগামী দিনে জিটিএ নির্বাচন করা হবে বলেও জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জিটিএ নির্বাচন করব। পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রকে বারবার বলছি আইন সংশোধন করতে। কিন্তু করছে না। তাই হচ্ছে না।” উল্লেখ্য, ২০০০ সালে পাহাড়ে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। ২০০৫ সালে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। ২০১১ সালে জিটিএ গঠন হয়। তারপর থেকে বারবার অশান্ত হয়েছে পাহাড়। তবে হয়নি পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে সরব দার্জিলিংয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ায় সাধারণ মানুষ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেই দাবি তাঁদের। একই সুর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও। দার্জিলিংবাসী পরিষেবা না পাওয়ার জন্য কেন্দ্রকেই বিঁধলেন মমতা।