প্রত্যাশা মতোই এবার আর পদ্ম ফুটল না ছত্তিশগড়ে। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। ৯০ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগারের থেকেও বেশি ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে তারা। তাদের দখলে ৬৮ আসন।
কিন্তু কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের পর থেকে একটিই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল রাজনীতিক মহলে, কে হতে চলেছেন ছত্তিশগড়ের আগামী মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এ প্রশ্ন খোদ দলের নেতাদেরও। তবে কোনও রকম ভাবেই কোনও এক তরফা সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে না সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাই ছত্তিশগড়ের হবু মুখ্যমন্ত্রী বাছতে এক অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছে তাঁর দল।
জানা গেছে, দলের নেতাদের মতামতকে যথেষ্টই গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। তাই ভোটের ফল সামনে আসার পর, একে একে তাঁদের কাছে ফোন যাচ্ছে। ফোন ধরলেই ওপারে দলনেতার কণ্ঠস্বর। তাতে পছন্দের মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানতে চাইছেন তিনি! সূত্র থেকেও পাওয়া খবর, ফোনে আসলে সরাসরি রাহুল কথা বলছেন না। তাঁর করা একটি ভয়েস মেসেজ শোনানো হচ্ছে, যেখানে দলীয় নেতাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে পছন্দ জানতে চাইছেন তিনি। গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক দলীয় নেতা এমন ফোন পেয়েছেন বলে খবর।
মঙ্গলবারই ফল বেরিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের। কিন্তু তার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারেনি দল। লোকসভা সাংসদ ও দুর্গ গ্রামীণ বিধানসভা আসনে জয়ী হওয়া তাম্রধ্বজ সাহু, দলের রাজ্য সভাপতি ভূপেশ বাঘেল এবং সিনিয়র নেতা ও এতদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদে থাকা টিএস সিংহদেও এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে রীতিমতো ‘স্বয়ম্বর সভা’র আয়োজন করতে চলেছে কংগ্রেস।
বুধবার রাত ৮টায় ছিল পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে হাজির ছিলেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। সেখানেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম জানিয়েছেন নব নির্বাচিত বিধায়কেরা। সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গেছে।