একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ-বিজেপিতে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা। এরই মধ্যে রাজ্য কমিটিতে মতুয়া কমিটি না থাকায় দলের অন্দরে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘বিদ্রোহের’ সুর। এবার পদ্ম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে নতুন কী রণকৌশল তৈরি করতে আজ ফের বৈঠকে দলের বিক্ষুব্ধরা। এদিন দুপুর ২টোয় কলকাতার পোর্ট গেস্ট হাউজে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বের বৈঠক শুরু হয়। যেখানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপির পরিচিত শীর্ষ মুখরা। ডাকা হয়েছে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া বাঁকুড়া, নদিয়ার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের। যাঁরা একসময়ে বঙ্গে বিজেপির আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারিত করতেন, তাঁরাও রয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা রাজ্য বিজেপির কাছে বড় সেট ব্যাক। তাঁদের মতে, এঁরা প্রত্যেকেই যেভাবে পরিশ্রম করে জেলা থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, তাতে তাঁদের নাম বাদ যাওয়াটা স্বাভাবিকভাবেই বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। দলের একাংশ বলছে, দলের দুঃসময়েও পাশে থেকেছেন এই প্রত্যেক নেতা। তাঁদের কেউই দল ছেড়ে সুবিধা দেখতে অন্য কোনও দলে যাননি। সংগঠনকে মজবুত করতে খেঁটেছেন। তাই তাঁদের নাম বাদ যাওয়া সংগঠনেরই আখেরে ক্ষতি। তাই এই বিক্ষুব্ধ নেতারা যখন আলাদা একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, তাতে বর্তমান নেতৃত্বকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে এটাই নির্ধারিত হতে পারে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে অপসারণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এটাই মূলত তাঁদের দাবি থাকবে। এটাকে সামনে রেখেই শনিবারের এই বৈঠক।