ময়নাগুড়ির দোমহনীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল| ময়নাগুড়ি জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের আহতের পরিবারের সদস্যের। চালক জোরে ব্রেক কষার জন্যেই এই দুর্ঘটনা দাবি আহতের পরিবারের। গ্রহণ করা হয়েছে সেই অভিযোগ। আহতের পরিবারের তরফে উত্তম রায় নামে এক ব্যক্তি জিআরপিতে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিকানের-গুয়াহাটি আপ ট্রেনের লোকো পাইলটের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দোমহনীতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার খবরে শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত জানা গিয়েছে। ২৬ জন আহত হয়েছেন, এবং ১০ জনের জখম গুরুতর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেসের সমস্ত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে রেল। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ তাঁর দাবি, ইঞ্জিনে কী ধরনের ত্রুটি ছিল বা তার পিছনে কী কারণ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ খুব শিগগিরই তদন্ত শেষ হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন রেলমন্ত্রী৷
রেল লাইনে ত্রুটি অথবা অতিরিক্ত গতির কারণে নয়, ইঞ্জিনের কোনও ত্রুটির কারণেই উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে বেলাইন হয়েছে বিকানের এক্সপ্রেস৷ শুক্রবারই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এমন দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ তিনি বলেন, ইঞ্জিনে কী ধরনের ত্রুটি ছিল বা সেই ত্রুটির পিছনে কী কারণ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ খুব শিগগিরই তদন্ত শেষ হবে বলেও আশ্বস্তও করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ কেন ত্রুটি ইঞ্জিনে প্রাথমিকভাবে রেলের আধিকারিকদের অনুমান, ট্রাকশন মোটরস খুলে পড়ে যায়। এর কাজ হচ্ছে হুইল-অ্যাক্সেল পরিচালনা করা। সেটা করতে গিয়েই বাধা আসে। ভেঙে পড়েছে এটা বুঝতে পারেন লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলট।
তাঁরা সঙ্গে-সঙ্গেই এমারজেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করেন। কিন্তু ট্রেনের যথেষ্ট গতি ছিল। আর আইসিএফ কোচ হওয়ার জন্যেই একটি কোচের উপরে অন্য কোচ উঠে পড়ে। তার জেরেই এই দূর্ঘটনা ও তার এই বিরাট অভিঘাত। এরই সঙ্গে রেল বোর্ডের তরফে মৃত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।রেল দুর্ঘটনায় আহত ২৬ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর জখম ১০ জনকে ১ লক্ষ করে ১০ লক্ষ এবং মৃত ৯ জনের পরিবারকে ৫ লক্ষ করে মোট ৪৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। খুব দ্রুত এই টাকা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ও মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।