কলকাতা পুরনিগমের ভোট গণনার দিন সকাল থেকেই মহানগরীর রঙ সবুজ হতে শুরু হয়েছিল। আকাশে উড়ল সবুজ আবির। হাতে হাতে ঘুরল সবুজ রঙের রসগোল্লা। রেলিং এ রেলিং এ সবুজ পতাকা। মাথায় সবুজ টুপি, গায়ে ঘাসরঙের জামা। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, কিন্তু তৃণমূলের এই বিপুল জয়ে দেদার বিক্রি হল সবুজ রঙা স্পেশ্যাল বিরিয়ানি। হ্যাঁ, সবুজ রঙের বিরিয়ানি বিক্রি করতে করতে হাত ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল।
সেই সময়ই রটে যায় শ্যামবাজার-হাতিবাগান জংশনে ফড়িয়াপুকুরের হোটেল প্রিয়ায় বিক্রি হচ্ছে স্পেশ্যাল সবুজ বিরিয়ারি। আর এরপরই একের পর এক অর্ডার। আর তা মেটাতে এক ডেকচি শেষ হতে না হতেই চলে আসছে আরেক ডেকচি। চিকেন এবং মটন দু ধরণের সবুজ বিরিয়ানিই দেদার বিক্রি হয়েছে। গ্রিন মাটন বিরিয়ানির দাম ২০০ টাকা এবং গ্রিন চিকেন বিরিয়ানি বিকিয়েছে ১৮০ টাকা প্লেট হিসেবে।
হোটেলের মালিক তৃণমূল কর্মী ভবাণী জানালেন, জানতাম আজ প্রচুর সমর্থক বিরিয়ানি কিনতে আসবেন। ভাবলাম বিরিয়ানির রঙটা সবুজ রাখলে কেমন হয়? যেমন ভাবনা তেমন কাজ, অর্গ্যানিক সবুজ রঙ কিনে আনলাম। আর পোলাও চাল, মটন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা বাটা, ধনেপাতা বাটা দিয়েই তৈরি হয়েছে সবুজ বিরিয়ানি। আর ভোজনরসিক বাঙালি প্রিয় দলের জয় সেলিব্রেট করতে দেদার কিনলেন এবং খেলেন সবুজ বিরিয়ানি।
শ্যামবাজার-হাতিবাগান জংশনে ফড়িয়াপুকুরের হোটেল প্রিয়ার মালিক ও কারিগরদের। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী এই হোটেলের মালিক তপন ঘোষাল ওরফে ‘ভবানী দা’ আগে থেকেই আয়োজন রেখেছিলেন এই বিশেষ বিরিয়ানির মালমসলা। আর তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হতেই আসতে লাগে একের পর এক অর্ডার।
বাঙালি এমনিতেই ভোজনরসিক, আর হাতের কাছে যদি পাওয়া যায় হাতে গরম বিরিয়ানি তবে তো কথাই নেই। প্রিয় দলের এই বিপুল জয়ের পর তাই বিরিয়ানির কদর অনেকটাই বাড়ে। মঙ্গলবার ভোটগণনার প্রথম দুই-তিন রাউন্ডের পরই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলই জিততে চলেছে বিশাল ব্যবধানে। বেলা গড়াতেই শহরজুড়ে উল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।