প্রথম থেকেই ভিন্ন সুর গেয়ে ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনাতেও সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যার শাস্তিস্বরূপ দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীকে। এবার দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, একমাত্র আমিই আখচাষিদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার কথা বলতে পারি। অন্যান্য বিধায়ক ও সাংসদ ওই প্রসঙ্গ তুলতেই ভয় পান। মঙ্গলবার পিলভিটের বিজেপি সাংসদ বলেন, বিজেপির অপর নেতারা কোনও বিতর্ক তোলেন না। তাঁদের ভয়, বিতর্ক তুললে পরের ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট নাও পেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাহেরি বিধানসভা কেন্দ্রে দু’দিনের সফরে গিয়েছেন বরুণ। বাহেরি তাঁর পিলভিট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, আমি বাদে আর কোনও এমএলএ বা এমপি-র ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কথা তোলার সাহস নেই। বরুণের কথায়, ‘অপর নেতারা ভয় পান, বিতর্কিত প্রসঙ্গ তুললে তাঁরা হয়তো আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যদি মানুষের দাবিদাওয়ার কথা না তোলেন, তাহলে কে তুলবে?’ তাঁর দাবি, আমি ভোটের টিকিট না পেলেও কিছু যায় আসে না। আমার মা একসময় নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে জিতেছিলেন। আমি কেবল সত্য কথাই বলব। সরকার আসবে, যাবে। এরপরেই বরুণ দাবি করেন, তিনি একজন বিপ্লবী। মানুষের ওপরে অবিচার হচ্ছে দেখলে তিনি সরব হন।
পিলভিটের জেলাশাসক পুলকিত খারেকে চিঠি দিয়ে বরুণ বলেছেন, ‘বাঁসুরি মহোৎসব’-এর জন্য ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছিলেন, ওই উৎসব করার জন্য তাঁদের থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। বরুণ বলেন, পিলভিতের ব্যবসায়ীরা দিল্লীতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। জেলাশাসককে দেওয়া চিঠির কপি তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমি চাই না, আপনাদের থেকে টাকা নিয়ে প্রশাসন কোনও অনুষ্ঠান করুক। এখন ব্যবসায়ীদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আমি এবং আমার মা পিলভিতের মানুষকে আমাদের পরিবারের অংশ বলেই মনে করি।’