রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টাল কাজ করতে শুরু করেছে শিক্ষকদের বদলির জন্য। তাই শিক্ষকদের আপস বদলি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলছেন, “ধরাধরির দরকার নেই, উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করুন। সহযোগিতা করুন, সকলের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। বদলি আপনার হক, আমরা সেটা নিশ্চয়ই দেব। তবে যাঁরা বদলির আবেদন করছেন, তাঁদের বলব, দয়া করে কোনও প্রতিনিধির কাছে যাবেন না, উৎশ্রী পোর্টালেই আবেদন করুন। এক এক দিনে এক-দু’হাজার করে বদলি হচ্ছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের একটি স্বচ্ছতার উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে একটি পোর্টালে আবেদন করে কোনও রকম ধরাধরি না করে আপনার বদলি হয়ে যাচ্ছে।”
পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী জানান, “আপস বদলির ক্ষেত্রে আমরা একটা নির্দিষ্ট নীতি নিয়েছি। উৎসশ্রী বলে আমরা একটি পোর্টাল করেছি, সেখানে আবেদন করতে হচ্ছে। ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। তার পর অনেকেই বলতে পারেন, ‘এত দিন হয়ে গেল আমি আবেদন করেছি, কিন্তু আমার কোনও উত্তর আসেনি।’ এমন ১০-১২টা ঘটনা ঘটতেই পারে।” বাস্তব পরিস্থিতিটা ঠিক কী? কেন কখনও কখনও প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে? ব্রাত্য বললেন, “একটা পরিস্থিতির কথা বলছি। দেখা যায় অনেক স্কুলে একটি বিষয়ের এক জনই শিক্ষক। ধরা যাক, একটি স্কুলে জীবন বিজ্ঞানের এক জন শিক্ষক আছেন। তাঁকে স্কুলে পড়াতে ৬০-৭০ কিলোমিটার দূর থেকে আসতে হচ্ছে। তিনি চাইছেন, বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলে তাঁর চাকরিটা হোক। তাঁর দিক থেকে এটা সঙ্গত দাবি। আবার প্রধান শিক্ষক বলছেন, আমার যদি ওই বিষয়ে একজন শিক্ষকই থাকেন, তা হলে কী করব! পাঁচ বছর ধরে নিয়োগ না হয়, তা হলে তো এক জন শিক্ষকই থাকবেন। আমাদের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, যদি কোথাও একক শিক্ষক বা সিঙ্গল টিচার থাকেন, তা হলে সেটা স্কুলের সিদ্ধান্তের উপরেই ছাড়া হয়।”
ব্রাত্য আরও জানান, “কোনও কোনও জায়গায় জেলা পরিদর্শকের কাছে ফাইল আটকে আছে। কারও কোভিড হয়েছে বলে ফাইল আটকে আছে। এ রকম সামান্য কিছু উদাহরণ থাকতে পারে। কিন্তু আমি উৎশ্রীর মাধ্যমেই আবেদন করতে বলব। আপনারা সহযোগিতা করুন। সরকার সহানুভূতিশীল। সরকার চায়, কোনও নাগরিকের দূরে চাকরি হলে সেটা খতিয়ে দেখা হোক। যাতে আপনার কষ্ট না হয়। সবই বিবেচনার মধ্যে আনছে সরকার। সরকার যেমন নিয়ম মানছে, সাধারণ মানুষকেও আমরা নিয়ম মানতে অনুরোধ করছি।”