ড্রাই স্টেট হিসেবে পরিচিত বিহার। নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেন। তবে নামেই নিষেধাজ্ঞা। কারণ প্রশাসনের নজর এড়িয়েই দিব্যি বিক্রি হচ্ছে তা। আর তারই ফলস্বরূপ বিহারের বিষমদ কাণ্ডে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার সমস্তিপুর থেকে আরও চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসুস্থ বহু। এ নিয়ে টানা তিনদিন মৃত্যুর খবর মিলল নীতিশ রাজ্য থেকে। বিষমদ খেয়ে বিহারের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৮।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে বিহারে নিষিদ্ধ মদ। তার পরেও একাধিকবার সে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মৃত্যুর খবর মিলেছে। দেখা গিয়েছে, নেশার টানে বিষমদেই চুমুক দেয় মদ্যপেয়ীরা। আর তার জেরেই প্রতি বছরই একাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ ও চম্পারণ এলাকা থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে। এই তিনটি এলাকাতেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের।
মুজফফরপুরের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩। পশ্চিম চম্পারণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আরও সাতজন। গোপালগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এদিকে বিষমদ কাণ্ড নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে। সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছেন, বিহারে মদ নিষিদ্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ নীতিশ সরকার। রাতের অন্ধকার রমরমিয়ে চলছে মদের ব্যবসা।