অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশ। আর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল ভ্যাকসিন। যত বেশি টিকাকরণ, ততবেশি করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। তবে
চলতি বছরেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়ার যে টার্গেট নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার, টিকারকরণের গতি দেখে ডিসেম্বরের শেষেও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সকলে পাবেন বলে মনে হচ্ছে না। সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্পন্ন হবে না অন্তত ২৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়ের।
প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যেকার দূরত্ব ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। এই দূরত্ব যদি কমানো না হয়, তবে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার রাতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ২৬ কোটি অর্থাৎ ২৮ শতাংশই এখনও কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজই পাননি। আর বছর শেষ হতে বাকি মাত্র ১২ সপ্তাহ।
শুধু কোভিশিল্ড নয়, ভারতে কোভ্যাকসিনের টিকাকরণও চলছে। তবে ভারত বায়োটেক কোভ্যাকসিনের জোগান দিতে পারছে না একেবারেই। অন্তত সেই জোগান আশানুরূপ নয়। দেশের মোট ভ্যাকসিনেশনের মাত্র ১১.৬ শতাংশ হচ্ছে কোভ্যাকসিনে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা শুক্রবার কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ পাচ্ছেন, তাঁদেরও পরবর্তী ডোজের তারিখ পড়বে আগামী বছরে।
পরিসংখ্যান বলছে, ঝাড়খণ্ডের ৪৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৩৯ শতাংশের এখনও টিকাকরণ হয়নি। হিমাচল প্রদেশে আবার সকলের টিকাকরণ হয়ে গেছে। টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়ার তালিকায় আশঙ্কা আছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু নিয়েও। জম্মু কাশ্মীর কেরালার মতো রাজ্যে যে হারে টিকাকরণ চলছে তাতে বছরের শেষে হয়তো ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ বাকি থাকবে।