শুক্রবারে সলিসিটর জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহেতার অপসারণ চেয়ে তৃণমূলের তিন সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এবার একই দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অপসারণ চেয়েও রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাবে শাসকদল, সূত্রের খবর এমনটাই। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি ভবনে এই দাবি নিয়ে যেতে চলেছে।
সম্প্রতি দিল্লীতে তুষার মেহতার বাসভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তুষার মেহতা সলিসিটার জেনারেলই নন, সিবিআইয়ের পেশাদার আইনজীবীও বটে। নারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করছেন তুষার মেহতাই। অন্য দিকে শুভেন্দু নারদ আর অভিযুক্তদের একজন। তিনি কী ভাবে মামলা চলাকালীন সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, এটাই প্রশ্ন তৃণমূলের। এই প্রশ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দরজায় কড়া নাড়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির দৃষ্টিও আকর্ষণ করতে চাইছে তৃণমূল। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এই মামলায় প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যে বৈঠক হয়েছে এমন আশঙ্কার কারণ থাকছে। তাই স্বচ্ছতার প্রশ্নেই তুষার মেহতাকে সরানো উচিত। এই একই দাবি তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছেও জানাবে।
এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। ভোট হিংসা নিয়ে রাজ্যপলের তৎপরতা তৃণমূল কখনোই ভালো চোখে নেয়নি। রাজ্যপাল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন দিল্লীতে গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এই অতি সক্রিয়তা দেখে তৃণমূল বারংবার মন্তব্য করেছে, রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি এই সব অভিযোগকে ছাপিয়ে গিয়েছে জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে জগদীপ ধনকর নামক এক ব্যক্তির নাম সামনে আসায়। তৃণমূলের দাবি, ওই জগদীপ ধনকর রাজ্যপালই। পাশাপাশি ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষী রাজভবনে, এই ছবি প্রকাশ করেও তৃণমূল জগদীপ ধনকরের দিকে আঙুল তুলেছে। এই অবস্থায় তৃণমূল চাইছে রাজ্যপাল অপসারিত হোন রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে। উল্লেখ্য, ভোটের আগেও ১৫৬ -এ উপধারা প্রয়োগ করে জগদীপ ধনকরকে রাজ্যপাল পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছিল তৃণমূল। রাইসিনা হিলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ যায় সে সময়েই।