বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই খোঁজ মিলেছিল হাওয়ালা টাকার। সেই সূত্র ধরেই এ বার কেরালা বিজেপির প্রধান কে সুরেন্দ্রন-কে আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলল পুলিশ।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল কেরালায় বিধানসভা নির্বাচন ছিল। তার তিনদিন আগে ত্রিশূর-এরনাকুলাম হাইওয়েতে একটি গাড়ি থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ দায়ের হয়। ৭ এপ্রিল ওই গাড়ির চালক থানায় অভিযোগ জানান। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কোঝিকোড়ের আরএসএস কর্মী একে ধর্মরাজনের কাছে ২৫ লাখ টাকা পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই ধীরে ধীরে টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে।
যে গ্যাং ওই টাকা লুঠ করেছিল, তাঁদের কাছ থেকে মোট এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানায়, ২৫ লাখ নয়, গাড়ি থেকে তাঁরা মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা লুঠ করেছিল। এত টাকা কোথা থেকে এল এবং নির্বাচনের তিনদিন আগে সেই টাকা কোথায় ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এরপরই মে মাসে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এম গণেশনকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জি গিরিশীন ও আলাপ্পুজ়া জেলার বিজেপি সভাপতি কেজি কার্থাকেও জেরা করে পুলিশ। তাদেরঅনুমান, বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহারের জন্যই দলের নির্বাচনী তহবিল থেকে ওই টাকা অনত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই লুঠপাটের সঙ্গে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাওয়ালা টাকার পাশাপাশি বিরোধী প্রার্থীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে। গতমাসেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় যে তিনি বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার লোভ দেখিয়েছিলেন। তার কয়েকদিন পরই দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের হয় কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, এক আদিবাসী নেতাকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি এনডিএ জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে।