যুব তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই তিনি পদত্যাপত্র জমা করেন। তাঁর বদলে এই পদে এলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। অর্থাৎ তৃণমূলের নতুন যুব সভাপতি হলেন সায়নী। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই এই ইস্তফা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে দলের বড়সড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
শনিবার দলের সাংগাঠনিক রদবদল নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক চলছে। সেখানে দলের সাংগাঠনিক খোলনলচে বদলের পথে হাঁটছে দল। সেই দিকে নজর রেখে ইতিমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দলের বিভিন্ন পদে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন করা হল এদিন। যেমন তৃণমূলের যুব সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী হলেন রাজ্য তৃণমূলের সংস্কৃতি শাখার সভাপতি। এদিকে প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসুর পেলেন দলের খেতমজুর শাখার সভাপতির দায়িত্ব। তৃণমূলের শ্রমিক সগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হলেন দোলা সেন। আর শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেন প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-নীতির কথা মাথায় রেখেই সাংগাঠনিক স্তরে এই ব্যাপক রদবদল করা হল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, এবার নির্বাচনে দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুদের টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছলি। সেই সময় দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এদিন দলের সিদ্ধান্ত দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, অনেক আগে থেকেই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছিল দল। তাই তাঁদের বিধায়ক না করে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল।
এদিনের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, এর পর থেকে মন্ত্রীরা আর জেলা সভাপতি থাকতে পারবেন না। মন্ত্রীদের গাড়ির লালবাতি যত্রতত্র ব্যবহার যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছে পোস্ট করা যাবে না। এমনকী, ফেসবুকে লাইভ করে দল সম্পর্কে যা ইচ্ছে বলা যাবে না। দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে মদন মিত্রকে সাবধান করে দল। তাঁকে সংযত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।