কর্নাটকের উপনির্বাচনে বিজেপির হারে পালে হাওয়া লেগেছে বিরােধী শিবিরের। এমন শােচনীয় পরাজয়ে আগামী লােকসভা ভােটে পদ্ম শিবিরের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ইঙ্গিত বলেই ধরছেন তাঁরা। আগামী ডিসেম্বর মাসে পাঁচ রাজ্যে অনুষ্ঠেয় সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে গােহারা করতে জোটবদ্ধ বিজেপি বিরােধী সবপক্ষই। যে কর্নাটকে জোট গড়ে বিজেপির মুখের গ্রাস কেড়ে ছিল জোট, সেই রাজ্যেই হুঙ্কার ছেড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বলছেন, ‘এ বার কেন্দ্রে সরকার গড়ার পালা।’ ২০১৪ সালের পর যেখানেই বিরােধী জোট হয়েছে, ঘটনাচক্রে পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। তা বিহারই হােক, কিংবা উত্তরপ্রদেশ নতুবা হালের কর্নাটক। কিন্তু জোট ফর্মুলা অব্যর্থই থেকেছে বিজেপি বিরােধীদের কাছে। প্রমাণ প্রায় প্রত্যেকটি ভােটের ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে। উত্তরপ্রদেশের গােরক্ষপুর, ফুলপুর, কৈরানাতে বিরােধীরা জোট বেঁধে উপভােটে বিজেপিকে নাস্তানাবুদ করেছিল।
আবার সদ্য দক্ষিণের রাজ্যেও তিনটি লােকসভা ও দু’টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র একটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। ১৯৯৯ সাল থেকে এক নাগাড়ে জয়ী বিজেপির গড় বল্লারিতে প্রায় আড়াই লক্ষ ভােটে জিতেছে কংগ্রেস। এই আসনে ১৯৯৮ সালে শেষবার সােনিয়া গান্ধি জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজকে হারিয়ে। উপনির্বাচনে ফলাফলের পর রাজনৈতিক মহলে আলােচনা, বিরােধীদের সম্মিলীত জোট যদি নীচুতলা পর্যন্ত ঠিকমতাে হয়, পরের ভােটে টিকতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। কর্নাটকে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বলছেন, ‘বল্লারি-জামকণ্ডিতে হার বিজেপির কাছে বিপদ ঘণ্টা। দক্ষিণী এই রাজনীতিকের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বিজেপির কাছে।
গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি তথা সংঘের নানা স্তরের নেতারা রাম মন্দিরের সপক্ষে সওয়াল করা ও নানা ঐতিহাসিক স্থানের নাম বদলও কর্নাটকে বিজেপির ভােট বাড়াতে পারেনি। সম্প্রতি সিবিআই ও অসমে বাঙালিদের হত্যার ঘটনা দেশের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।