গেরুয়া শিবিরে যথাযোগ্য সম্মান পাননি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে গত বছরের শেষের দিকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুজাতা মণ্ডল৷ যার জেরে তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন তাঁর স্বামী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ আজ আরামবাগে সেই তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা আক্রান্ত হওয়ার পর সৌমিত্র বললেন, “ওঁকে আমি চার মাস আগেই ভুলে গিয়েছি৷”
এ দিন আরামবাগের আরান্ডিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে প্রথমে আক্রান্ত হন সুজাতা৷ তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে৷ সুজাতাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর দেহরক্ষী৷ কোনওক্রমে ক্ষেতের উপর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান তৃণমূল প্রার্থী৷ সুজাতার অভিযোগ, তাঁকে শুধু আঘাত নয়, একেবারে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল বিজেপি৷ এই ঘটনার পরেও অবশ্য আরও একবার আক্রান্ত হতে হয় সুজাতা মণ্ডলকে৷ ডিহি বাগনান এলাকায় সুজাতার গাড়ি আটকে বাঁশ, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন গ্রামবাসীদের একাংশ৷ কোনওক্রমে তাদের আটকায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তবে গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটে তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ির কাঁচ ভাঙে৷
সুজাতার উপরে এই হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তৃণমূল প্রার্থীর উপরই দোষ চাপিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ তাঁর দাবি, গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের প্ররোচিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী৷ সুজাতা কেমন আছেন তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি না প্রশ্ন করলে সৌমিত্র বলেন, “ওঁকে আমি চার মাস আগেই ভুলে গিয়েছি৷” বিজেপি সাংসদের আরও দাবি, আরামবাগের যে বুথে এই গন্ডগোল হয়েছে, সেটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এরপর তিনি দাবি করেন, আরামবাগে জিতবে বিজেপি-ই৷ তবে সুজাতাও এ দিন সৌমিত্রের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি৷ তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা জবাব, “ভোটে কে জিতবে, কে হারবে সেটা তো উনি ঠিক করবেন না৷”