ভোট এলেই ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা করে বিজেপি, এই অভিযোগ নতুন নয়। বারবারই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের তামাম বিরোধী নেতা-নেত্রী। তাঁদের অভিযোগ যে ভ্রান্ত নয়, ফের তার প্রমাণ মিলছে দেশের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়। শুধু বাংলা নয়, ভোট আসতেই বাকি চার রাজ্যেও বিজেপি বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তা বেড়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রের ইশারাতেই এসব হচ্ছে। ভোটের কথা মাথায় রেখেই ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর ও এনআইএ-র অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
ভোটমুখী তামিলনাড়ুতে গত সপ্তাহেই আয়কর দফতর হানা দিয়েছে ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিনের মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে। হানা চলেছে ডিএমকে নেতা সেন্থিল বালাজির বাড়িতেও। ভোটের আগে টাকা বিলির চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ। তবে, গত সপ্তাহের এই আয়কর হানা থেকে অভিযোগের সপক্ষে তেমন কোনও শক্তিশালী প্রমাণ মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। ভোটের মুখে দক্ষিণের আরও এক রাজ্য কেরলেও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সক্রিয়তা নজরে পড়ার মতো। বিশেষ করে ইডির বাড়তি সক্রিয়তা চোখে পড়ছে বাম শাসিত কেরালায়। সেখানে আবার ইডির বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশকে।
ইডির বিরুদ্ধে কেরালা পুলিশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নাম জড়িয়ে দিতে সোনা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের ওপর চাপ তৈরি করছেন ইডির অফিসাররা। গতমাসে কেরালা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ডের (কেআইআইএফবি) বেশ কিছু কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গের অভিযোগে এই মামলা। ঘটনাচক্রে, এই বোর্ডের সদস্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। এই অবস্থায় সিপিএমের অভিযোগ, ভোটের আগে ইডিকে ব্যবহার করে বিজয়নকে নিশানা বানাতে চাইছে মোদী সরকার। আবার আসামেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। সেখানে দেশ-বিরোধী কাজের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কৃষক নেতা অখিল গগৈকে।