মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বাংলার বুকে বেশ উদ্বেগে রেখেছে বিজেপির নেতৃত্বকে। আর এই ভোটব্যাঙ্ককে কাছে পেতে মতুয়াগড়ে গিয়ে অমিত শাহ বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে, দক্ষিণভারতের তামিলনাড়ুতে বিজেপির জোট শরিক এআইএডিএমকে অমিত শাহের উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে ভোট প্রচারে। একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নিজের ইস্তেহারে ভিন্ন ধরনের স্টান্স নিয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তমিলনাড়ুতে বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি। এবার তারা তামিলভূমে ২০ টি আসনে লড়ছে। ফলে ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখা তাঁদের কাছে পাখির চোখ। তামিলনাড়ুতে বিজেপি নিজের ইস্তেহারে গোহত্যা রোখা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জানানো হয়েছে, কেরালার মতো জায়গায় গরু বিক্রি বন্ধ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, বাম শাসিত কেরালায় বিজেপি নিজের ইস্তেহারে গোহত্যা প্রসঙ্গে একটিও বক্তব্য রাখেনি। এমনই তথ্য দিয়েছে বেসরকারি ইংরেজি এক দৈনিক।
প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ সালে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কেরালায় ৮০ লাখের বেশি মানুষ গোমাংস খান। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে ৪০ লাখের মতো মানুষ গোমাংস খেয়ে থাকেন। ফলে এই খাদ্যাভাসের দিক থেকে দুটি রাজ্যের বাসিন্দার কাছে ভোটের ইস্যুও আলাদা। আর তাতেই ফোকাস করে বিজেপি কেরালা ও তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে একই ইস্যুতে আলাদা স্টান্স নিয়েছে বলে দাবি ওই বেসরকারি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের।
মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, দেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হলেই শুরু হবে সিএএ লাগুর কাজ। এদিকে, তামিলনাড়ুতে বিজেপির শরিক এআইএডিএমকে জানিয়েছে , তারা ক্ষমতায় এলে সিএএলাগু হতে দেবে না।
মতুয়া গড়ে যেখানে বিজেপি সিএএ নিয়ে বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে আসামের বুকে দাঁড়িয়ে জেপি নাড্ডা সাফ জানিয়েছেন ‘ঠিক সময়ে’ সিএএ লাগু হবে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন অসমে ‘কারেক্টেড’ এনআরসি হবে। প্রসঙ্গত, সিএএ ও এনআরসি এই দুই ইস্যুতেই আসামে একটা সময় আগুন জ্বলেছে। এদিকে, সিএএ নিয়ে বাংলার বুকে সংখ্যালঘুদের বিরোধিতা যেমন রয়েছে , তেমনই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক এর সমর্থনে সোচ্চার।