একেই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। তারমধ্যেই গতকালমুম্বইয়ের কোভিড হাসপাতালে লেগেছে বিধ্বংসী আগুন। সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রাতেই দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আজ বেলা গড়াতেই বাড়তে শুরু করল মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হাসপাতাল অবশ্য দাবি করেছে, তারা বেশিরভাগ রোগীকেই অন্যত্র সরিয়ে দিতে পেরেছে। জানা গেছে, ভানুপ এলাকার একটি শপিং মলের তিনতলায় রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল। কাল আগুন লাগে শপিং মলেই। তার পরেই তা ছড়িয়ে পড়ে উপরের হাসপাতালে।
এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন আসে। কয়েক ঘণ্টা ধরে লড়াই চলার পরে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) প্রশান্ত কদম জানিয়েছেন, রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথমে শপিং মলের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় শপিং মল বন্ধ থাকায় সেখানে কেউ মারা যাননি। তবে শপিং মলের তিন তলার হাসপাতালে ঘুমের মধ্যেই মারা যান দু’জন। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর বলেন, “শপিং মলের উপরে হাসপাতাল তৈরি করার কথা নয়। এটি অনুচিত কাজ, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কী করে আগুন লাগল তা জানার চেষ্টা চলছে।”
মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ একেবারে বাঁধ ভেঙেছে। গতকাল একদিনেই নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩১ হাজারের বেশি। করোনায় মৃত্যু হাজারের বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে মুম্বই, নাগপুর, ঠাণে, পুণেতে। মুম্বইয়ের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দেখে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। একই অবস্থা নাগপুর ও পুণেতে। এমনিতেই মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি অতি উদ্বেগজনক। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। তার মধ্যে কোভিড চিকিৎসারই হাসপাতালে এত বড় দুর্ঘটনা, যেই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত সকলে।