বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তাপ চড়তে শুরু করেছে বাংলায়। আর একুশের ভোটে যে সব থেকে নজরকাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছে রাজ্য তথা দেশের জমি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান নন্দীগ্রাম। কারণ এখানেই এবারে শাসক শিবিরের প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন তাঁরই একসময়কার শিষ্য তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই লড়াইয়ে এবার চলে এল পাকিস্তানও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোটের ময়দানে পরস্পরকে আক্রমণ করাই রাজনীতির দস্তুর। তবে আগে এই আক্রমণ করা হত যুক্তিতর্ক দিয়ে। কিন্তু এখন তার ধার ধারছে না গেরুয়া শিবির। ইদানিং যে কোনও নির্বাচনেই জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তোলা হচ্ছে। যেমন গত কয়েকদিন ধরেই নন্দীগ্রামে প্রচারে বেড়িয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করছেন, মমতা নাকি নন্দীগ্রামকে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘পাকিস্তানক জিতলে যারা বোমা ফাটায় শুধু তারাই এখন তৃণমূল। তাই বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিন আপনারা। এখানে জায়গায় জায়গায় মিনি পাকিস্তান তৈরি করেছে। ক্রিকেটে পাকিস্তান জিতলে তারা বোমা ফাটায়, মিষ্টি খাওয়ায়। আপনারা ভূমিপুত্রকে গ্রহণ করবেন, না সুফিয়ানের চোখে নন্দীগ্রামকে দেখবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার।’
শুভেন্দুর বক্তব্যেই স্পষ্ট যে মমতার সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে আসলে জাতীয়তাবাদের তাসই খেলতে চাইছেন বিজেপি প্রার্থী। ইতিমধ্যেই যার প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা আক্রমণ করে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামে পরাজয় আসন্ন বুঝে মেরুকরণের রাজনীতি করছেন শুভেন্দু। সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে চাইছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা-উন্নয়নের বদলে তাই তাঁর মুখে এখন নন্দীগ্রাম। সেখানকার মানুষ শুভেন্দুর দলবদল মেনে নিতে পারেনি। আর মমতা নিনেও এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি বিভাজন করতে চাইছে। তাই ওরা ৭০ শতাংশ, ৩০ শতাংশের কথা বলছে। মমতার সাফ কথা, তাঁর সরকার ১০০ শতাংশের জন্য।