ভোট কিনতে বিজেপি টাকা ছড়াবে৷ যদিও সেই টাকা নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ভোটটা তৃণমূলকে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী গুরুতর অভিযোগ তুলে বললেন, ভারত সরকারের স্টিকার মারা গাড়ি থেকেও টাকা ছড়ানো হচ্ছে৷
ভোট প্রচারে বেরিয়ে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যেমন তিনি অভিযোগ করেছেন, বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হবে৷ এ দিন পুরুলিয়ায় তিনটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সভাগুলি থেকে আরও একধাপ এগিয়ে মমতা গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, ভোট লুট করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশও পাঠানো হচ্ছে৷ মমতার কথায়, ‘আজকে রাজ্যের প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে৷ তাহলে এই পাঁচ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা দফতরগুলিও কেন কমিশনের অধীনে থাকবে না? তুমি উত্তর প্রদেশের পুলিশ পাঠাচ্ছ, বিজেপি রাজ্য থেকে পুলিশ পাঠাচ্ছে বেছে বেছে৷ কেন ভোট দখল করার জন্য? এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না৷’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, অবিলম্বে ঝাড়খণ্ড-পুরুলিয়া সীমান্তের উপরে নজরদারি বাড়াতে হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুতর অভিযোগ, ‘ডিভিসি-র সেতুর উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডে যাতায়াত করা যায়৷ সতর্ক থাকুন৷ ভারত সরকারের স্ট্যাম্প মারা গাড়ি থেকেও টাকা ছড়ানো হচ্ছে৷’ তৃণমূলনেত্রী এ দিন আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর নিজের দলের বুথ কর্মীদেরও মোটা টাকায় কিনে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি৷ এ বিষয়ে নজর রাখার জন্যও দলের বাকি কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷ তবে তাঁর দাবি, সবকিছুর উপরে কড়া নজর রাখছেন তিনি৷
এ দিনও মমতা দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, ভোটের সময় অপরিচিতদের থেকে বিরিয়ানি- চা বা অন্য কোনও খাবার না খেতে৷ কারণ তাতে কিছু মেশানো থাকতে পারে৷ ইভিএম নিয়েও ফের একবার সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ভোট গ্রহণ শুরুর আগে ভালভাবে ইভিএম পরীক্ষা করে নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পুরুলিয়ায় লোকসভা নির্বাচনে জিতেও বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো কিছুই করেননি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, পুরুলিয়ার সাংসদ সবসময় জামশেদপুরে গিয়ে থাকেন৷