ম্যাচের ভাগ্য তখন ড্রয়ের দিকে হেলে পড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে (৯৫ মিনিট) মাঝমাঠ থেকে কার্ল ম্যাকহ্যাগের বাঁ পায়ের কার্লিং ফ্রি-কিক স্টপার সন্দেশ ঝিংগান হেডে প্যারালাল ফ্লিক করেন। প্রথম পোস্টের সামনে হলেও দুরূহ কোণ থেকে নিখুঁত হেডে তা জালে জড়ান রয় কৃষ্ণা (১-০)। এই গোল নিঃসন্দেহে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিল সবুজ-মেরুন শিবিরে। আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেল এটিকে মোহন বাগান। তিনটি ম্যাচেই স্কোরশিটে নাম তুলেছেন রয় কৃষ্ণা। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ শীর্ষে হাবাসের দল।
টুর্নামেন্টে শুরুটা ভাল হয়নি উড়িষ্যার। হায়দ্রাবাদের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল উড়িষ্যা। তাদের দুই ফুটবলার মার্সেলিনহো ও দিয়েগো মরিসিওকে নজরে রেখেছিলেন হাবাসের ছেলেরা। মার্সেলিনহোকে আগে থেকেই চিনতেন হাবাস। এ দিন ম্যাচের শুরুতেই মার্সেলিনহোকে কড়া ট্যাকল করেন তিরি। সে যাত্রায় তিনি হলুদ কার্ড দেখেন। কিন্তু ওই কড়া ট্যাকলের ফলে মার্সেলিনহো নিজের সহজাত খেলা আর খেলতে পারেননি। ৬৭ মিনিটে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। মরিসিওকেও তুলে নেওয়া হয়। আর এই দুই ফুটবলার উঠে যাওয়ায় এটিকে-মোহনবাগানের রক্ষণভাগ অনেক নিশ্চিন্তে খেলতে শুরু করে।
ম্যাচের আধঘণ্টা পেরলে স্ট্র্যাটেজি বদলান উড়িষ্যা কোচ। এই পর্বে দুই স্টপারকে কিছুটা উপরে উঠে আসার নির্দেশ দেন তিনি। ৩৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় উড়িষ্যা। ডানদিক থেকে উড়ে আসা সেন্টার গোল মুখ ওপেন পেয়েও বাইরে হেড করেন জ্যাকব ট্রাট। বিরতির দু’মিনিট আগে মার্সেলিনহোর সেন্টার থেকে ছ’গজের বক্সের উপরে দাঁড়িয়ে বাইরে হেড করেন স্টিভেন টেলর। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হৃদপিণ্ড তাদের মাঝমাঠ। তবে আক্রমণে প্রবীররা সেভাবে আপফ্রন্টকে সাহায্য করতে পারেননি। বিশেষ করে বাগানের উইং প্লে কার্যকর হয়নি। বিরতির ঠিক আগে লেফট চ্যানেল দিয়ে শুভাশিস বসুর ফ্লোটারে মাথা ছোঁয়ান কৃষ্ণা। যা ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
বিরতির পর আক্রমণে চাপ বাড়ায় উড়িষ্যা এফসি। ৬০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে টপকে নন্দ কুমার শেখরের নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৬ মিনিটে আক্রমণে গতি বাড়াতে জোড়া পরিবর্তন করেন হাবাস। জয়েশ রানে ও মনবীর সিংয়ের জায়গায় তিনি নামান যথাক্রমে ব্র্যাড ইনম্যান ও গ্ল্যান মার্টিন্সকে।