ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল ম্যাক্সওয়েলের আউটটাই। খেলা দেখে অন্তত এমনটাই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। ম্যাক্স যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন দেখে মনে হচ্ছিল তিনি একাই ম্যাচ ভারতের হাত থেকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই নিজের পরিচিত রূপে অবতীর্ণ হলেন যশপ্রীত বুমরাহ। ম্যাক্সওয়েল বোল্ড হতেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গেল। বাকি ব্যাটসম্যানরা অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ১৩ রানে ম্যাচ জেতেন বিরাটরা। ফলে একদিনের সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিতে সম্মান বাঁচাল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া।
এদিন দলে চারটি পরিবর্তন করেছিল ম্যানেজমেন্ট। ময়ঙ্ক আগরওয়াল, মহম্মদ শামি, যজুবেন্দ্র চাহাল ও নবদীপ সাইনির জায়গায় দলে আসেন শুভমন গিল, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব ও টি নটরাজন। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। ধাওয়ান তাড়াতাড়ি আউট হলেও বিরাটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তরুণ শুবমান। তিনি ৩৩ করেন। নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট। সেইসঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১২ হাজার রানের মালিক হন তিনি। ভেঙে ফেলেন শচীনের রেকর্ড।
দেখে মনে হচ্ছিল একদিনের ক্রিকেটে নিজের ৪৪ তম সেঞ্চুরি করবেন কোহলি। কিন্তু ৬৩ রানের মাথায় হ্যাজলউডের বলে আউট হন তিনি। রান পাননি শ্রেয়স আইয়ার ও লোকেশ রাহুলও। একটা সময় ১৫২ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তারপরে ১৫০ রান যোগ করলেন ভারতের দুই অলরাউন্ডার। আইপিএলের ফর্ম বজায় রেখেছেন হার্দিক ও জাদেজা।
দুই অলরাউন্ডার প্রথমে কিছুটা ধরে খেলেন। তারপরে হাত সেট হলে মারা শুরু করেন। বেশি আক্রমণাত্মক অবশ্যই ছিলেন পান্ডিয়া। অন্যদিকে নিজের ঢংয়ে মার শুরু করেন জাদেজাও। শেষ পর্যন্ত ৭৬ বলে ৯২ করেন হার্দিক ও ৫০ বলে ৬৬ করেন জাদেজা। দুজনেই নট আউট থাকেন। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই ৩০০ পার করে ভারত।
জবাবে এদিন ফিঞ্চের সঙ্গে ওপেনে নেমেছিলেন লাবুশানে। ফিঞ্চ একদিকে থাকলেও লাবুশানে, স্মিথ রান পাননি। লাবুশানেকে আউট করে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে নিজের প্রথম উইকেট নিলেন নটরাজন। প্রথমে হেনরিকস ও তারপর গ্রিনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। কিন্তু তাঁরাও খুব বেশি রান পাননি। অবশেষে ৭৫ রান করে আউট হন ফিঞ্চ।
৫ উইকেট পড়ার পরে পার্টনারশিপ গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যারি। আগের দুই ম্যাচের মতোই এদিনও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন ম্যাক্সওয়েল। অন্যদিকে ধরে খেলছিলেন ক্যারি। ৩৮ রানের মাথায় ক্যারি আউট হলে অ্যাগারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ৩৮ বলে ৫৯ করে ম্যাক্সওয়েল আউট হতেই ধস নামে অজি ব্যাটিংয়ে। অ্যাগার ২৮ করলেও তা কাজে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত বুমরাহর বলে জাম্পা বোল্ড হতেই ২৮৯ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ১৩ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।