হালফিলের পুজোয় বাঙালি বিরিয়ানির দোকানে লাইন দেওয়ার বদলে মাছের বিভিন্ন পদে রসনা তৃপ্তি করতেই বেশী পছন্দ করে। সপরিবারে রেস্তরাঁয় গিয়ে কলাপাতায় মোড়া ভেটকি মাছের পাতুরি বা মাছের কালিয়ায় রসনাবিলাসেই মজে থাকে সে। কিন্তু অন্ধ্রের চালানি মাছে ফর্মালিনের অস্তিত্ব মেলায় ‘মাছে-ভাতে’ বাঙালি কিঞ্চিৎ চিন্তিত। তবে আশ্বস্ত করছে রাজ্য মৎস্য দপ্তর। তাদের দাবি, ফর্মালিনের ‘গুজব’ ভুলে পুজোয় মাছ খান চুটিয়ে। কলকাতা পুরসভাও ভরসা যোগাচ্ছে। জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত আমদানিকৃত মাছে ফর্মালিনের অস্তিত্ব মেলেনি। বাংলার ‘মাছ’ তাই সুরক্ষিত। অতএব, আমদানি করা মৎস্য খান সুখে।
রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘সকলকে বলব গুজব ভুলে নিশ্চিন্তে মাছ খান’। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ নিজে মৎস্যপ্রেমী। তাঁর খাদ্যতালিকায় মাছ মাস্ট। তাঁর কথায়, ‘আমি রোজ মাছ খাচ্ছি। পুজোতেও খাব। সবাইকে বলব, আপনারাও খান’।
পুজোর দিনগুলিতে বাঙালির পাতে মাছের জোগান রাখতে আমদানি বেড়ে যায় অন্তত ২০ শতাংশ। খাবারের দোকানগুলিতেও আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্য মিশিয়ে তৈরি করে নানা মাছের পদ। সেই মতো হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রয়োজনীয় মাছের জোগান দিতে প্রস্তুত মাছ ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মাছের বাজার হাওড়ায়। কলকাতা, শহরতলি ও ভিন রাজ্যেও এখান থেকেই মাছ সরবরাহ করা হয়। হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদের কথায়, ‘ফর্মালিনের গুজবে মাছে বাজার কিছুটা পড়ে গেলেও পুজোর সময় ফের চাঙ্গা হবে। চিংড়ি, পাবদা, ভেটকির সঙ্গে ইলিশের জোগান দিতেও তৈরি হচ্ছি আমরা। শিয়ালদহ পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক অধীর বিশ্বাসও মনে করেন, পুজোয় ফের মাছের জন্য ক্রেতাদের হাঁকাহাঁকি বাড়বে। আমরা তৈরি’।