কবে আসবে করোনার ভ্যাকসিন? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এই নিয়ে কোনও তথ্য নেই। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে কোনও আশা দিতে পারেননি মোদীও। অথচ বাজারে ভ্যাকসিন আশার নানারকম তারিখ শোনা যাচ্ছে। এবার এই নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রেলের অনুমতি না মেলায় মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভ্যাকসিন আসতে বিলম্ব নিয়ে কেন্দ্রকে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। ভ্যাকসিন নিয়ে কার্যত রাজনীতি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে ছ’মাস ধরে নাটক হচ্ছে।’ এর আগে সোমবার বাঁকুড়ার সভা থেকেও ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে একই কথা বলেছিলেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগে আগেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হল না। নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির রাজ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে বলে সুর চড়ালেন তিনি। বহিরাগত তত্ত্বেও জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে থেকে এসে যারা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে তাদের কোনওভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কাজ না করে রাজ্যের বিরোধিতা করাই কেন্দ্রের একমাত্র কাজ বলেও তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে রামায়ণ, মহাভারত, বাইবেল পড়া শেষ হয়ে যাবে।’ এছাড়াও বাঁকুড়ায় জোর করে স্থানীয়দের উচ্ছেদের খবর তাঁর কাছে এসেছে বলেও জানান। রেল ওই এলাকায়
বসবাসকারীদের জন্য পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত না করেই উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আক্রমণের আরও ঝাঁজ বাড়িয়ে বিজেপিকে ‘বস্তাপচা জঙ্গল পার্টি’ এবং ‘গারবেজ অফ লাইস’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।
মমতার দাবি, অন্তত ৯ মাস আগে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যেত। শুধু রেলের ঢিলেমির জন্য বেহালার মানুষকে এতদিন ঝামেলা পোয়াতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অতিমারির মধ্যেও যেভাবে রাজ্যের কাজ হয়েছে তা আর কোথাও হয়নি।