২৬/১১-র মত কালো দিনেই ফের জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটল সন্ত্রাসবাদী হামলা। জঙ্গীদের অতর্কিত আক্রমণে শহীদ হলেন ২ ভারতীয় জওয়ান। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরে এইচএমটি এলাকার কাছে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই জওয়ানের। কর্তব্যরত সেনা দলের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে থাকে সেনাবাহিনীও। দু পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময়ে প্রাণ যায় দুই জওয়ানের।
কয়েক দিন আগেই জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়েতে নাগরোটার কাছে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছিল চারজন জইশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদীর। সূত্রের খবর, তারা একটি ট্রাকে লুকিয়ে ছিল। দু পক্ষের গুলিবিনিময়ে জখম হন দুই পুলিশকর্মী। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়সড় হামলার ছক কষেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তারা কাশ্মীর উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল। তার আগেই গোপন সূত্রে খবর চলে যায় সেনাবাহিনীর কাছে। এরপরই ট্রাকটি ঘিরে ধরে সেনাবাহিনী। শুরু হয় তীব্র এনকাউন্টার।
জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে নিহত চার জইশ জঙ্গী ২৬/১১-র ধাঁচে আরও বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল৷ এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই৷ সময়োচিত হস্তক্ষেপ এবং সাহসের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে গত শুক্রবার তিনি টুইট করে বলেন, “আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা আরও একবার তাঁদের সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় রেখেছেন। তাদের সতর্কতার জন্যই জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর আঘাত রোখা সক্ষম হয়েছে।”