লকডাউনের পালা মিটলেও সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও জারি রয়েছে কড়াকড়ি। মেনে চলতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি। যার ফলে ফেরেনি ব্যবসার হাল। এদিকে অতিমারির ফলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও ত্রাণের শিকে ছেঁড়েনি। লাভ হয়নি কেন্দ্রের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েও। এই অবস্থায় আগামী কেন্দ্রীয় বাজেটে আতিথেয়তা ক্ষেত্রকে (হোটেল, রেস্তরাঁ ও পর্যটন) অন্তত ‘শিল্পের’ তকমা দেওয়ার দাবি তুলল তাদের সংগঠন ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন্স অব ইন্ডিয়া (এফএইচআরএআই)। সংগঠনটির বক্তব্য, তাদের ব্যবসাকে চলতি কথায় শিল্প বলা হলেও সরকারি খাতায় সেই স্বীকৃতি এখনও নেই। তা থাকলে বাড়তি সুবিধা মেলে। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের পর্যটক টেনে বিদেশি মুদ্রা আয় করায় এই ক্ষেত্রকে রপ্তানি শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি তুলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, অতিমারির জেরে গত সাত-আট মাসে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন আতিথেয়তা ক্ষেত্রে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ত্রাণের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। বাজেটে তাই এই ক্ষেত্রকে শিল্পের তকমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা। তাদের মতে, সে ক্ষেত্রে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাঙ্ক ঋণ, করের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা, সরকারি মাসুলে ছাড় মিললে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালানো সহজ হবে। এফএইচআরএআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল জেসন চাকো জানান, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে কেন্দ্র একই সিদ্ধান্ত নিলে আলাদা ভাবে রাজ্য স্তরে কার্যত তার দরকার পড়বে না। একই ভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রের স্বীকৃতি, বিদেশি মুদ্রা বাবদ আয়ের উপরে জিএসটি না-চাপানোরও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্সের (আইএটিও) আবার আর্জি, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি পর্যটকদের এ দেশে আসার কথা মাথায় রেখে বৈদ্যুতিন ভিসা, পর্যটন ভিসা এবং আন্তর্জাতিক উড়ান চালুর দিনক্ষণ ঘোষণার করুক সরকার।