একটি বিধানসভায় জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ফারাক এমন হতেই পারে৷ কিন্তু বিহারে এনডিএ এবং মহাজোটের মধ্যে কতখানি রুদ্ধশ্বাস লড়াই হয়েছে, ভোটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এনডিএ মোট যা ভোট পেয়েছে, তার থেকে মাত্র ১২৭৬৮ ভোট কম পেয়েছে মহাজোট!
শতাংশের হিসেব অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের হিসেবে বিজেপি-জেডিইউ-এর এনডিএ-এর তুলনায় ০.০৩ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন মহাজোট৷ বিহারে মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ৩৭.২৬ শতাংশ ভোট, মহাজোট পেয়েছে ৩৭.২৩ শতাংশ৷ অন্যান্যরা ২৫.৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷
এনডিএ-এর প্রাপ্ত ভোট ১,৫৭,০১,২২৬টি৷ সেখানে মহাজোট পেয়েছে ১,৫৬,৮৮,৪৫৮টি ভোট৷ হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি বিধানসভায় যদি মহাজোট আর মাত্র ৫৩টি করে ভোট বেশি পেত, তাহলে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন তেজস্বী যাদব৷
পাঁচ বছর আগে যখন এনডিএ-র বিরুদ্ধে লালু- নীতীশ মহাজোট তৈরি করেছিলেন, তখন সেই মহাজোটের সঙ্গে এনডিএ-এর প্রাপ্ত ভোটের ফারাক ছিল ২৯ লক্ষের বেশি৷ অর্থাৎ ২০১৫ সালে এনডিএ-র তুলনায় ৭.৮ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছিল লালু-নীতীশের মহাজোট৷ ২০২০-তে সেই ফারাক নেমে এসেছে ০.০৩ শতাংশে৷ এর থেকেই প্রমাণিত, এবারে কতখানি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিহারে৷
এ বছর বিহারে প্রতিটি কেন্দ্রে জয়ের গড় মার্জিন দাঁড়িয়েছে ১৬,৮২৫৷ এ দিনও রাষ্ট্রায় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন৷ তাঁর অভিযোগ, পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিয়মই মানা হয়নি৷