শাহর বাংলায় পা রাখার দিনই মতুয়াদের জন্য আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে তার জন্য ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বাগদি, বাউরি-দুলে এবং মাঝিদের জন্যও আলাদা আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করল রাজ্য সরকার।
মতুয়াদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এর আগে বেশ কয়েকটি প্রকল্প এনেছে মমতা সরকার। উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল প্রদান তার মধ্যে অন্যতম। এর ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। এবার মতুয়াদের উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মমতা। কয়েক দিনের মধ্যেই কমিটি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মতুয়া সংগঠনগুলির দাবি অনুয়ায়ী ঠাকুরবাড়ির মমতাবালা ঠাকুরকেও উন্নয়ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
এখানেই শেষ নয়, নদীয়াতে বন্ধ হয়ে যাওয়া হরিচাঁদ বিদ্যাপীঠ মতুয়াদের জন্য ফের নতুন করে শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে মমতা সরকার। মতুয়া গোষ্ঠীর আবেদন অনুযায়ী ২ টি অ্যাম্বুলেন্সও দিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বলেন, ‘সবাইকে বলবেন, রাজ্য সরকার সব সময় পাশে রয়েছে।’ সব মিলিয়ে মমতা সরকারের এই উদ্যোগে খুশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ।
দক্ষিণবঙ্গের ভোটে অনেকাংশেই নির্ণায়ক হয়ে ওঠে উদ্বাস্তুরাই। তাঁদের নিয়ে ইদানীং দুশ্চিন্তায় আছে বিজেপিও। কারণ, নাগরিকত্ব আইন এখনও কার্যকরী হয়নি এ রাজ্যে। প্রতিশ্রুতি মতো বিজেপি সরকার এখনও কোনও উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব দিতে পারেনি। বাংলার উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকার বিজেপি নেতারা একাধিক বার এ নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের মধ্যে। এলাকায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদেরও। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মতুয়াদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মতুয়াদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক জানিয়ে মমতা বলেন, ‘এখন যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, তারা জানে না। বড়মা যত দিন বেঁচে ছিলেন, প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে, তাঁর দেখাশোনা আমি করতাম।’