বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে সঙ্গেই এর পাল্টা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
অমিত শাহ বলেছেন, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলা দখল করবে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে কটাক্ষ করেছেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। বাংলার মানুষকে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু হবে না।’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘ওঁরা ক্ষমতাই পাবেন না, সোনার বাংলা কী করে তৈরি করবেন!’
এখানেই না থেমে সৌগতর প্রশ্ন, ‘বিজেপি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে কি সোনার রাজ্য তৈরি হয়েছে?’ উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত আর কর্নাটকের উদাহরণ এদিন তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ নিজের পার্টিকে সামলাক। ওরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া করছে, আগামী দিনে নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি লেগে যাবে।’
বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অমিত শাহ। যা আসলে ‘লোকদেখানো নাটক’ বলেই মত সৌগত রায়ের। সাংসদের কথায়, ‘আজ মতুয়া, আদিবাসীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে অমিত শাহ আসলে লোকদেখানো নাটক করছেন। আমাদের দলিত, আদিবাসীরা বোঝেন যে বিজেপি উচ্চবর্ণের পার্টি, বড়লোকদের পার্টি। ওরা গরিবদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। ওরা আম্বানি-আদানিদের নিয়ে মাথা ঘামায়। ওরা যদি সোনার বাংলাই করবে তবে সোনার উত্তরপ্রদেশ, সোনার গুজরাট করতে পারছেন না কেন!’ বাংলার মানুষ অমিত শাহর সফরকে উপেক্ষা করবেন বলেই এদিন জানান সৌগত রায়।
শাহর এমন বিবৃতিকে বিঁধতে ছাড়েননি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘এসব ফাঁকা আওয়াজ। অমিত শাহ আসলে বাংলায় নাটক করতে এসেছেন।’
প্রশ্ন উঠছে অমিত শাহের এমন মন্তব্য কতটা ঠিক? রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের মোকাবিলা করার মতো সংগঠন আদৌ আছে কিনা তার খোঁজ নিক অমিত শাহ। দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জেতার কথা পরে ভাববেন।