বিজেপি নেতা কিংকর মাজির মৃত্যুর প্রতিবাদে বাগনানে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। কোনও অশান্তি এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় হয়নি। তবে গেরুয়া শিবিরের ডাকা বনধ উপেক্ষা করে কার্যত সচল গোটা এলাকা। এদিকে, ওই বিজেপি নেতা করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির।
মহাষ্টমীর রাতে পেশায় ফুল ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা কিংকর বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পথেই প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। অভিযোগ, সামান্য বাকবিতণ্ডার পর বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে ওই প্রতিবেশী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারও হয়। তবে কিংকরকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মৃত্যুর প্রতিবাদেই ১২ ঘণ্টা বাগনানে বনধ ডাকে বিজেপি। বৃহ্স্পতিবার সকালে এলাকায় বন্ধের মিশ্র প্রভাব। বাগনানের স্টেশনের দক্ষিণ পাশে দোকানপাট খোলাই রয়েছে। তবে স্টেশনের উত্তর দিকে দোকানপাট বন্ধ। যদিও বৃহস্পতিবার এমনিতেই উত্তরপাড় বন্ধ থাকে। বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলেছে অটোর। চলছে বাস-লরিও।
বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘মানুষ বুঝে গিয়েছে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বাগনানে গুলি চলেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা বুঝেই তারা বিজেপির ডাকা বনধ উপেক্ষা করেই পথে নেমেছেন। স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন। আমরা সাধারণ মানুষকে সাধুবাদ জানাই।’