হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে ষষ্ঠীর রাতেই বৃষ্টিতে ভিজেছে তিলোত্তমা-সহ রাজ্যের প্রায় সবক়টি জেলা। সপ্তমীর সকালেও কলকাতার আকাশের মুখভার। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। ছাতা হাতেই মণ্ডপে হাজির হয়েছেন অনেকে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা দুপুরের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়া লণ্ডভণ্ড করতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মণ্ডপ। ভারী বৃষ্টিতে জল জমতে পারে খাস কলকাতায়। তবে কি করোনা বিধি মেনে যেটুকু প্রতিমা দর্শনের প্ল্যান ছিল, আদতেই তা-ও পণ্ড হতে চলেছে? এই প্রশ্নই ঘুরছে আমজনতার মাথায়।
সপ্তমীর পুজোর আনন্দ মাটি হতে চলেছে নিম্নচাপে। সকাল থেকেই পশলায় ভিজছে শহর। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আজ সন্ধ্যা থেকে হতে পারে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি। উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে মৎস্যজীবিদের। সমস্ত রকম সাবধানতা নিয়ে রেখেছে প্রশাসনও।
মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আগেই পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বলা হয়েছিল, ষষ্টী-সপ্তমী প্রবল বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। পরে তা অভিমুখ পরিবর্তন করে। আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোতে থাকে। যত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি আসে ততই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে থাকে। এর জেরেই এদিন বৃষ্টির পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল সম্ভাবনাও প্রবল। গতকালও সারাদিন আকাশের মুখ ভার ছিল। দফায় দফায় চলছিল বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির জেরে একধাক্কায় তাপমাত্রাও অনেকটা কমে গেছে।