আমেরিকার শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ায় বুধবার দিনের শুরুতে উর্ধ্বমুখী হয়েছিল সেনসেক্স, নিফটি। কিন্তু পরে বিনিয়োগকারীরা ‘প্রফিট বুকিং’ করায় ৮২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা কোম্পানি যদি শেয়ার বেচে ফেলে, তাকে শেয়ার বাজারের ভাষায় প্রফিট বুকিং বলা হয়। অনেক সময় ক্ষতি এড়ানোর জন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেচে ফেলে।
বুধবার দিনের শুরুতে নিফটিও উঠে গিয়েছিল ১২ হাজারের ঘরে। কিন্তু প্রফিট বুকিং-এর ফলে তা ১১ হাজার ৮০০-র ঘরে নেমে যায়। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, এইচসিএল টেকনোলজিস, বাজাজ ফিনান্স এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার শেয়ারের দাম কমার জন্যই এদিন সেনসেক্স নেমেছে। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানি, এফএমসিজি, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, মিডিয়া, আর্থিক পরিষেবা সংস্থা এবং ব্যাঙ্কের শেয়ারের দর কমায় নিম্নগামী হয়েছে নিফটি। এর পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বহু বিনিয়োগকারী।
নিফটিতে নথিভুক্ত শেয়ারগুলির মধ্যে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। ৪.৪ শতাংশ কমে সেই শেয়ারের দাম হয়েছে ৩৩৯৭ টাকা। হিরো মোটরকর্প, বাজাজ ফিনান্স, টিসিএস, এসবিআই লাইফ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, ইচার মোটর্স, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, শ্রী সিমেন্টস এবং উইপ্রোর শেয়ারের দামও কমেছে ১.৫ থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড, হিন্ডালকো, ভারতী এয়ারটেল, টাটা স্টিল, এনটিপিসি এবং গেইল ইন্ডিয়ার শেয়ারের দাম বেড়েছে।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের শেয়ার বাজারে ধস নামে। এদিন সেনসেক্স ১০০৭ পয়েন্ট নেমে ৩৬,৬৬০- এর ঘরে পৌঁছায়। নিফটিও ২৬৫ পয়েন্ট নেমে পৌঁছায় ১০,৮৬৭-র ঘরে। ৪ সেপ্টেম্বর আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। একইসঙ্গে শোনা গিয়েছিল, কোভিড অতিমহামারীর জেরে মার্কিন অর্থনীতির হাল যতদূর খারাপ হবে ভাবা হচ্ছিল, বাস্তবে তার চেয়েও খারাপ হতে চলেছে। এই দুই কারণে এদিন ভারতের বাজারেও সূচক নিম্নমুখী হয়।