চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি নতুন দলনেতা পেয়েছে রাজ্য কংগ্রেস। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এল গোষ্ঠী কোন্দল। শুধু কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয় একেবারে হাতাহাতি। যার শিকার কংগ্রেস বার্তার সম্পাদক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ পেয়েছেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। সংগঠন শক্তিশালী করার বদলে প্রাক্তণ প্রদেশ সভাপতিকে আক্রমণ করাতেই তাঁর বেশী উৎসাহ দেখা গেল। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বিরক্ত অধীর-অনুগামীরা ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে এই নিয়ে নালিশ জানিয়েছেন। তবে তারাও পিছিয়ে নেই। সোমেন অনুগামীদের সঙ্গে অধীর অনুগামীরা নেমে পড়লেন সম্মুখ সমরে।
মহরমের দিনে আচমকা রাজ্য কংগ্রেসে পালাবদল ঘটে। অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে আনা হয় সোমেন মিত্রকে। একদল বাজনা বাজিয়ে ফুল-মালায় প্রদেশ দপ্তরে যখন সোমেনবাবুকে বরণ করছিলেন, তখন থেকেই অধীর অনুগামীদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকির সূত্রপাত। দুই দশক পরে ফের রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সোমেনবাবুর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন শুরুর মুখেই ওমপ্রকাশ মিশ্রকে সভাকক্ষে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে মিডিয়ার সামনেই বিতণ্ডায় মাতলেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেই পথেই সম্ময় বাবুকেও আক্রমণ করা হল। শনিবার কংগ্রেস বার্তার ঘরে ঢুকতে না পেরে বিধানভবনের সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সেইসময়েই একদল কংগ্রেস কর্মী তাঁকে আক্রমণ করে। পরে কোনও মতে বাসে উঠে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। সোমেন অনুগামীদের দাবি, কংগ্রেস বার্তাকে অধীর বার্তায় পরিণত করেছিলেন সম্ময়। এই নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
অধীর চৌধুরী সভাপতির পদ থকে সরে গেলেও তাঁকে প্রদেশ প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করেছে এআইসিসি। প্রদেশ কংগ্রেসের আইটি সেলের আহ্বায়ক অনুপম ঘোষ ডালুবাবুর ওই বক্তব্য সম্পর্কে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন সরাসরি রাহুল গান্ধীকে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অধীর অনুগামীরা নানা কটাক্ষ করে চলেছেন বর্তমান প্রদেশ সভাপতির বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে কংগ্রেস যে তিমিরে ছিল নতুন দলনেতা পাওয়ার পরেও সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।