বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ১৭ অগস্ট যার পরবর্তী শুনানি হবে। বোর্ডের নয়া সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে টানা ছয় বছর পদে থাকার পর বাধ্যতামূলক ভাবে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। ফলে সৌরভের মতো সচিব জয় শাহকেও সংবিধান অনুসারে সরে যেতে হবে। জয়ের মেয়াদ আবার আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে। সৌরভের মেয়াদও ফুরিয়ে আসার মুখে। এই অবস্থায় প্রাক্তন ভারতীয় তারকা সুনীল গাভাসকার জানালেন ২০২৩ বিশ্বকাপ অবধি সৌরভকেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সত্যিই যদি তাঁকে বোর্ড সভাপতি পদ ছেড়ে কুলিং অফে যেতে হয়, তাহলে হয়তো আইসিসি’র মসনদে দেখা যেতে পারে সৌরভকে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, আপাতত তিনি দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতেই বেশি আগ্রহী। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরও সেটাই চান। সানি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সৌরভ ও তার টিম ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাক। এখন দেখার বিষয়, আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়। অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ ভারতীয় দলকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার পথ দেখিয়েছিল। প্রশাসক হিসেবেও সে দারুণ কাজ করছে। এই মুহূর্তে বিসিসিআইয়ের ওকে খুবই প্রয়োজন।’
এই মুহূর্তে আইসিসি’র চেয়ারম্যান হওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে সৌরভের সামনে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা গ্রেম স্মিথ বিশ্ব ক্রিকেটের মহার্ঘ সিংহাসনের যোগ্য দাবিদার হিসেবে সৌরভের নাম উল্লেখ করেছেন। রবিবার সেই একই সুর শোনা গেল শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেট এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। আমার মনে হয়, সৌরভই সেটা পারবে। দাদার ক্রিকেট মস্তিষ্ক অসাধারণ। ওর খেলার বড় ভক্ত ছিলাম আমি। আমার বিশ্বাস, ক্রিকেটের স্বার্থেই ও যথার্থ সিদ্ধান্ত নেবে। ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে অনেক দিন কাজ করে ফেলায় আইসিসি চালাতে কোনও সমস্যা হবে না ওর। ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য সৌরভ নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।’