তিনি দু’দেশের মানুষকেই ভালবাসেন, তাই দুই দেশের মধ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করতে চান। ভারত ও চীনের দ্বৈরথ সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ভাবেন, বলে তাঁর তরফে এ কথা জানালেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব।
ট্রাম্পের এই কথা এত দিন তিনি যেমনটা বলছিলেন তার থেকে একটু অন্য সুরে কানে বেজেছে কূটনীতিকদের। চলতি সপ্তাহেই বুধবার মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও বলেন যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ভাল বোঝাপড়া রয়েছে। তার আগে হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো-ও ভারতকে আমেরিকার মহান মিত্র হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একে অপরের ভাল বন্ধু। এমনকি তার আগে যখন লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা চলছে, তখনও ট্রাম্প ভারতের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন, চীনকে বিদ্ধ করেছিলেন।
কিন্তু এদিন জানা গেল, ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি ভারতের মানুষকে ভালবাসি এবং চীনের মানুষকেও ভালবাসি। তাই দু’দেশের সাধারণ মানুষের জন্যই দু’দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য যা প্রয়োজন, তাই করতে চাই।’ তবে এ কথা সরাসরি ট্রাম্প নিজে বলেননি, তাঁর এই ইচ্ছের কথা সাংবাদিকদের সামনে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কালেলি ম্যাকেনি।
সম্প্রতি ইউরোপে গিয়েছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান। তিনিও সে সময়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সঙ্গে চীন অত্যন্ত আগ্রাসী আচরণ করছে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ। আমাদের ভাল ও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও গত কয়েক মাস ধরেই কোভিড ইস্যুতে চীনকে একের পর এক আক্রমণে বিদ্ধ করেছেন ট্রাম্প। লাদাখ সংঘর্ষেও ভারতেরই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এর ঠিক পরেপরেই হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের বার্তায় উঠে এল দু’দেশের জন্যই তিনি একই রকম ভাবে উদ্বিগ্ন এবং সে জন্যই শান্তিরক্ষায় সাহায্য করতে চান।