মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন, ইরান, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। শুক্রবার যেমন দেশে করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেল ১০ লাখ। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৮৩২ জন। আক্রান্তের সঙ্গে সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৯.৮ শতাংশ।
শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। গোড়া থেকেই এই রাজ্য সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। তার পর সময় যত গড়িয়েছে, এই রাজ্য নিয়ে সারা দেশের শঙ্কা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে আট হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮১ জন। দৈনিক চার-সাড়ে চার হাজার করে বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত হয়েছে এক লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন। তুলনায় রাজধানী দিল্লীতে দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৪৫ জন। কর্ণাটকেও আক্রান্ত সংখ্যা হু হু করে বেড়ে ৫০ হাজার ছাড়াল। সেখানে মোট আক্রান্ত ৫১ হাজার ৪২২ জন। ৪৫ হাজার ৪৮১ আক্রান্ত নিয়ে পঞ্চমে গুজরাত।
আক্রান্তের পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে মৃত্যু ছাড়াল সাড়ে ২৫ হাজার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৫ হাজার ৬০২ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১১ হাজার ১৯৪ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লীতে প্রাণ গিয়েছে ৩ হাজার ৫৪৫ জনের। ২ হাজার ২৩৬ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃত্যু-তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাতে ২ হাজার ৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনার কারণে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে কর্ণাটকে মৃত্যু সংখ্যা ১ হাজার ৩২। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার হিসেব স্বস্তি দিয়েছে ভারতবাসীকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ হাজার ৯৪২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৫৬ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।